জার্মানিতে বিশ্বনেতাদের বৈঠক, লক্ষ্য ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একটি গোপন সফরের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জার্মানিতে ৪০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিকে নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ইউএস আর্মি জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল কিয়েভের নিরাপত্তা সহায়তা সমন্বয় করা।

লয়েড অস্টিন

আলোচনায় আরও বেশি পরিমাণে কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়। অস্ত্রগুলোর মধ্যে হাউইটজার আর্টিলারির মতো ভারী অস্ত্র, সশস্ত্র ড্রোন এবং গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জার্মানি যাওয়ার পথে মিলি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি খুব জটিল হবে। যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য ইউক্রেনে অব্যাহত অস্ত্র সমর্থন প্রয়োজন এবং এটিই সম্মেলনের উদ্দেশ্য।

রাশিয়ান আক্রমণ অব্যাহত: ইউক্রেনের ডোনবাস ও দক্ষিণ অঞ্চলে রাশিয়ান আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থলভাগে খুব বেশি অগ্রগতি তারা করতে পারছে না। ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর জানাচ্ছে, রাশিয়ান বাহিনী রেলওয়েকে লক্ষ্যবস্তু করছে। কারণ তারা মনে করে রেলপথে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।

ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ, ফাইল ছবি

পূর্ব ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলছে রাশিয়া: সর্বশেষ ব্রিটিশ সামরিক তথ্য অনুসারে, রাশিয়া সম্ভবত দেশটির পূর্বে ভারী সুরক্ষিত ইউক্রেনীয় অবস্থানগুলো ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। টুইটারে পোস্ট করা একটি গোয়েন্দা আপডেটে জানানো হচ্ছে, ইউক্রেনীয় শহর ক্রেমিনা ‘সম্ভবত পতন’ হয়েছে।

ইজিয়াম শহরের দক্ষিণে প্রচণ্ড লড়াই চলছে, কারণ রাশিয়ান বাহিনী উত্তর থেকে স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামতোর্স্ক শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়মিত সামরিক গোয়েন্দা বুলেটিনে জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলে সম্ভাব্য রুশ আক্রমণ প্রতিহতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। জাপোরিঝিয়াতেও চলছে প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এ পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের ৫০ লাখের বেশি মানুষ দেশছাড়া হয়েছে। তবে কিয়েভ থেকে রুশ বাহিনী সরে যাওয়ায় পরিস্থিতি আগের মতো হতে চলেছে। রুশ বাহিনী এখন ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধ চালাচ্ছে।