কুদস দিবসে প্রশ্ন: ফিলিস্তিনিরা কি হলোকাস্টের খেসারত দিচ্ছে

দিনকযেক বাদেই পালিত হবে বিশ্ব কুদস দিবস। সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই প্রশ্ন জাগছে জার্মানিতে কথিত যে হলোকাস্টের ঘটনা ঘটেছে, ফিলিস্তিনি জনগণ কি তারই খেসারত দিচ্ছে? কণ্ঠহীন ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর এই আল কুদস দিবসে সে প্রশ্নই আবারো জোরালো হয়ে উঠছে।

আল কুদস দিবস পালিত হয় রমজানের শেষ শুক্রবার

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ এবং সেখানকার নিপীড়িত জনগণকে সমর্থন জানাতে ইরান ৪৩ বছর ধরে কুদস দিবস পালন করে আসছে। ১৯৪৮ সাল থেকে যখন মার্কিন সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েল মুসলিম দেশটি দখল করে, তখন থেকে তারা দফায় দফায় ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। দখল করা জায়গায় ইহুদি বসতি নির্মাণ করেছে।

প্রায় ৭৪ বছর ধরে ইসরায়েল তথাকথিত হলোকাস্টের অজুহাতে ফিলিস্তিন দখল করে রেখেছে। ইহুদিদেরও অবশ্যই নিজস্ব একটি দেশ থাকা দরকার। কিন্তু হলোকাস্টের কথা যদি সত্যও হয়, তাহলেও কেবল ফিলিস্তিনি জনগণকে কেন এর মূল্য দিতে হবে? ইসরায়েলিরা শুধু ফিলিস্তিনে আক্রমণ করেই ক্ষ্যান্ত থাকেনি, তারা লেবাননের দক্ষিণে, সিরিয়ার গোলান হাইটস এবং জর্ডানসহ ফিলিস্তিনের আশেপাশের অন্যান্য দেশে আক্রমণ চালিয়েছে এবং দখলও করেছে।

আল কুদস দিবসে র‌্যালি, ফাইল ছবি

কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলা ফিলিস্তিনের আজ প্রশ্ন- মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা করার জন্য? কেনো ইসরায়েল অধিকৃত ভূমিতে বিপুল সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্র জমা করেছে? ইসরায়েল কোন দেশকে তার পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করতে চাইছে? কেন ইসরায়েলি শাসক ফিলিস্তিনি জাতির ওপর অবরোধ আরোপ করেছে? ফিলিস্তিন ইস্যুতে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মহল নীরব কেন?

রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার দুই মাসে পশ্চিমা মিডিয়া ইউক্রেনের দুর্দশা কভার করতে শত শত সাংবাদিক ইউক্রেনে উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু তাদের আকর্ষনীয় ও মোহনীয় পর্দায় ফিলিস্তিনের কোনো অবস্থান নেই। কেন কেউ প্রশ্ন করে না ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি শিশু মারা যায় কেন? নিহত হওয়ার পর তাদের পরিবারের অবস্থা কী?

পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার পালিত হয় আল কুদস দিবস। ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনির উদ্যোগে ১৯৭৯ সালে যা ইরানে শুরু হয়েছিল। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা, জায়নবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং ইসরায়েল কর্তৃক জেরুজালেম দখলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ।