সমীক্ষা: যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিরোধী বৈষম্য বেড়েছে ৯ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রে গত এক বছরে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য ৯ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির শীর্ষ মুসলিম নাগরিক অধিকার এবং অ্যাডভোকেসি গ্রুপের তৈরি একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর আনাদোলু।

গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিরোধী বৈষম্য বেড়েছে ৯ শতাংশ

এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) কর্মকর্তারা ‘স্টিল সাসপেক্ট: দ্য ইমপ্যাক্ট অব স্ট্রাকচারাল ইসলামোফোবিয়া’ শিরোনামের প্রতিবেদনের ফলাফলে এ তথ্য জানান। এতে বলা হয়, সিএআইআর গত বছর দেশব্যাপী ৬ হাজার ৭২০টি অভিযোগ পেয়েছিল। এর মধ্যে অভিবাসন, ভ্রমণ বৈষম্য, আইন প্রয়োগকারী এবং সরকারি বাড়াবাড়ি, ঘৃণা ও পক্ষপাতমূলক ঘটনা, বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত ছিল।

সিএআইআরের জাতীয় নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বছরের অভিযোগের সংখ্যাটি গত ২৭ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামোফোবিয়া বাড়ছেই

ইসলামোফোবিয়া মার্কিন সমাজে কাঠামোগত এবং গভীর অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে আওয়াদ বলেন, ইসলামোফোবিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় যুক্ত হয়ে গেছে। আইন, নীতি, রাজনৈতিক বক্তৃতাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রকাশের মাধ্যমে এটি এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের মধ্যেও প্রবেশ করেছে।

সিএআইআর জানায়, গ্রুপটি ২ হাজার ৮২৩টি অভিবাসন ও ভ্রমণ-সম্পর্কিত অভিযোগ, ৭৪৫টি কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ, ৫৫৩টি বাসস্থান সম্পর্কিত অভিযোগ, ৬৭৯টি আইন প্রয়োগকারী ও সরকারি বাড়াবাড়ির অভিযোগ, ৩০৮টি ঘৃণা ও পক্ষপাতমূলক ঘটনা সম্পর্কিত অভিযোগ, ২৭৮টি বন্দী অধিকার সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছে। এছাড়া স্কুলের ঘটনা নিয়ে ১৭৭টি অভিযোগ, ৫৬টি বাকস্বাধীনতা-বিরোধী অভিযোগ এবং ১ হাজার ১০১টি সাধারণ অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি বাড়াবাড়ির অভিযোগ ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জোরপূর্বক অপসারণ, হয়রানি, ভাঙচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছনাজনিত ঘৃণা ও পক্ষপাতের ঘটনা বেড়েছে ২৮ শতাংশ।

আওয়াদ বিশ্বাস করেন, মার্কিন সরকার ইসলামোফোবিয়া কমিয়ে আনার মাধ্যমেই এ সমস্যা সমাধান করতে পারে।