সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত চীন ও ইরান

সামরিক খাতসহ সবক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে চীন ও ইরান। তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসির সঙ্গে সফররত চীনা স্টেট কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহির বৈঠকে দুই পক্ষ এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।

সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে কৌশলগত যোগাযোগ এবং অস্ত্র ও সেবা বিনিময়, যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে চীন ও ইরান

বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসি বলেন, ইরান সব ধরনের একচেটিয়াত্ব, আধিপত্যবাদ ও বহির্দেশীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। চীনের মৌলিক স্বার্থগুলো রক্ষার ক্ষেত্রে বেইজিংকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে ইরান। বিগত বছরগুলোতে ইরানের কঠিন সময়ে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য তিনি চীনকে ধন্যবাদ জানান।

জেনারেল ওয়েই ফেংহি বলেন, চীন ও ইরান প্রাচীন সভ্যতার ধারক। দুই দেশের প্রথাগত মৈত্রী কালের পরিক্রমায় ক্রমশ দৃঢ় হয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরাজমান অস্থির সময়ে তার এ সফর বিশিষ্টতা ধারণ করে এবং পারস্পারিক দৃঢ় সমর্থন ও সার্বজনীন কল্যাণে চীন-ইরান সম্পর্কের গুরুত্ব প্রকাশ করে।

সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত চীন ও ইরান

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ছে। এ সম্পর্ককে উচ্চতর স্তরে নিয়ে যেতে চীনের সামরিক বাহিনী ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

সফরকালে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহি ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গারেই আসতিয়ানির সঙ্গেও বৈঠক করেন। এছাড়া ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মাদ বাগেরির নেতৃত্বে স্থানীয় কর্মকর্তারা চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সফররত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন।

এসব বৈঠকে দুই পক্ষ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করে। চীন ও ইরানের কর্মকর্তারা দুই দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার এবং অস্ত্র ও সেবা বিনিময়, যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করতে সম্মত হন।