জাদুঘর থেকে চুরি হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি জিনিস!

উজবেকিস্তানের ১৪টি জাদুঘর থেকে গত ৩০ বছরে তিন হাজারেরও বেশি বিরল, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ চুরি হয়েছে। গত বুধবার পর্যটনের উন্নয়নে জাদুঘরগুলোর ভূমিকা বাড়ানোর জন্য আয়োজিত এক বৈঠকের সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট শভকাত মিরজিওয়েভ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আনাদোলু ও উজরিপোর্ট।

বুখারা স্টেট মিউজিয়াম

প্রেসিডেন্ট বলেন, বুখারা স্টেট মিউজিয়ামে ৩০ কোটি ডলার মূল্যের প্রায় ৮১টি শিল্পবস্তু নকল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। ইচান-কালা জাদুঘরে ১০১টি এমন বস্তু নকল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

মিরজিওয়েভ আরো বলেন, গত ৩০ বছরে চুরির কারণে এসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষতির পরিমাণ ৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

জাদুঘরে প্রদর্শিত জিনিসপত্র

এ বছরের শেষ নাগাদ উজবেকিস্তানের জাদুঘরে সমস্ত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ ডিজিটালভাবে রেকর্ড করার জন্য একটি ডেটা ব্যাংক তৈরি করা হবে।

প্রসিকিউটর জেনারেল ও পর্যটন মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনকে দেশের সমস্ত জাদুঘরের প্রদর্শনীর একটি সম্পূর্ণ ইনভেন্টরি পরিচালনা করার পাশাপাশি একটি ইলেকট্রনিক ডাটাবেস তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন শভকাত মিরজিওয়েভ। তিনি বলেন, এখন থেকে আঞ্চলিক প্রশাসকরা জাদুঘরের সার্বিক অবস্থার জন্য দায়ী থাকবে।

তাসখন্দ, সমরকন্দ, বুখারা, খিভা ও কোকান্দের মতো ঐতিহাসিক শহরগুলোর জন্য পরিচিত উজবেকিস্তানে হাজারের বেশি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ভবন এবং প্রচুর জাদুঘর রয়েছে। তবে এসবের অনেকগুলোই পুরোপুরি ব্যবহার হয় না। এসব জাদুঘরে ২৫ লাখের বেশি জিনিস রয়েছে, যেগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য অনেক।

জানা গেছে, উজবেকিস্তানের জাদুঘরগুলোতে যেসব জিনিস রয়েছে জায়গার অভাবে তার মাত্র এক শতাংশ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অনেক জাদুঘরের অবস্থান দুর্গম এলাকায় হওয়ার কারণে লোকজনের যাতায়াত নেই। দেশটির সরকার এগুলোকে প্রদর্শনযোগ্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।