কিমের সতর্কবাণী: প্রয়োজনে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেওয়া সতর্কবাণী পুনরায় উল্লেখ করে বলেছেন, শত্রু শক্তির মোকাবিলায় পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ কিম জং উনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন

খবরে বলা হয়, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর "নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার" জন্য দেশটিকে প্রয়োজনে এ ধরনের বিপজ্জনক কর্মসূচি চালাবে।

তিনি আরো বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত, যাতে অন্য কেউ উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে না পারে। পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনের বিষয়টিকে তিনি দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানকারী জীবনরেখা হিসেবে অভিহিত করেন।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

এর আগে গত সোমবার একটি সামরিক কুচকাওয়াজের সময় তিনি বলেছিলেন, স্বার্থ হুমকির মুখে পড়লে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর ৯০তম বার্ষিকীতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এ মন্তব্য করেছিলেন কিম। সে সময় দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সামরিক খাতকে আধুনিকীকরণের গতি দ্বিগুণ করেছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন আলোচনার প্রস্তাব উপেক্ষা করে এই বছর বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে কিমের দেশ।

২০১৭ সালের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণ পরিসরে একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে এ পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ উৎপেক্ষণের মাধ্যমে কিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি এ বার্তাই দিয়েছেন যে, সিউলের নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি রাজি নন।

কিমের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য বিশ্লেষণ করে সিউলের ইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণার অধ্যাপক লিফ-এরিক ইজলি বলেন, এ সকল মন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রশাসন বা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা পুনরায় শুরুতে কিমের অনাগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ।