বিমানবন্দরের রানওয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিল রাশিয়া

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের ওডেসা বিমানবন্দরের রানওয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাক্সিম মার্চেনকো তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর তাসনিউজ।

রুশ হামলায় ধোঁয়া উঠছে ওডেসা বিমানবন্দরে

একটি ভিডিও বার্তায় গভর্নর বলেন, গতকাল শনিবার শত্রুরা ক্রিমিয়া থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি ব্যাসশন উপকূলীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওডেসায় আঘাত হেনেছে। এতে ওডেসা বিমানবন্দরের রানওয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, সেখানে কেউ হতাহত হয়নি।

এর আগের দিন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছিল, রাশিয়ার বিমানগুলো অবরুদ্ধ শহর মারিওপলের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আজভস্টাল স্টিল কারখানাকে লক্ষ্য করে তারা এসব হামলা চালায়। এ সময় ইউক্রেনের সেনা ও বেসামরিক লোকজন ইস্পাত কারখানার ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে।

মারিওপলের বিধ্বস্ত একটি এলাকা

সূত্র অনুযায়ী, প্রায় ১ হাজার বেসামরিক নাগরিক আজভস্টাল স্টিল কারখানার ভেতরে রয়েছে। তবে, সোভিয়েত আমলের ওই ইস্পাত কারখানার ভেতর কী পরিমাণ ইউক্রেনীয় সেনা লুকিয়ে আছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো ধারণা নেই। তবে রাশিয়া ধারণা করছে, প্ল্যান্টের ভেতরে দুই হাজারের মতো সেনা অবস্থান করছে।

এদিকে, মারিওপলের প্ল্যান্ট এবং অন্যান্য অংশ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। কিন্তু রাশিয়া সেখানে হামলা বন্ধ করার জন্য আত্মসমর্পণের শর্ত দিয়েছে। সে শর্ত না মানায় কিছুটা বিরতি দিয়ে রুশ বাহিনী আবারো মারিওপলের ওপর জোরদার হামলা চালাচ্ছে।

গতকাল শনিবার রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের ১৭টি সামরিক স্থাপনায় উচ্চ-নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হামলায় একটি কমান্ড পোস্ট ধ্বংসের পাশাপাশি প্রায় ২০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত এবং কমপক্ষে ২৩টি সাঁজোয়া যানও ধ্বংস হয়েছে।

ন্যাটোতে যোগদান ইস্যুকে ঘিরে রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে চালানো এ হামলাকে যুদ্ধ বলতে রাজি নন। তিনি একে ‘ডি-নাজিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছেন।