‘মার্কিন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে সম্মত হইনি, এটাই আমার দোষ’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি দেওয়ার মার্কিন অনুরোধে কখনোই সম্মত হইনি। গতকাল শনিবার তিনি এক ভিডিওবার্তার এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। খবর জিওনিউজ।

ইমরান খান

গত মাসে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে ঘাঁটি বানাতে চেয়েছিল, যাতে এখান থেকে সহজেই আফগানিস্তানে পাল্টা আক্রমণ চালানো যায়। কিন্তু আমি সে দাবিতে সম্মতি দিইনি।

ইমরান বলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ পাকিস্তানের ৮০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের এ ত্যাগের কোনো মূল্যায়ন করেনি। উল্টো অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ আফগানিস্তানে হেরে যাওয়ায় পেছনে পাকিস্তানকে দোষারোপ করেন। এরপর তারা আবার পাকিস্তানে ঘাঁটি বসাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি কখনোই এতে রাজি হইনি। মূলত সেখান থেকেই সমস্যা শুরু হয়।

পাকিস্তানে জায়গা পায়নি মার্কিন সেনা

উল্লেখ্য, ইমরান খান ২০২১ সালের জুনে একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের পদক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানে কোনো ঘাঁটি স্থাপন বা ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি এ-ও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সরকারের এমন স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে অভ্যস্ত ছিল না। ফলে সেখান থেকেই সমস্যা শুরু হয়। এছাড়া চীনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক এবং রাশিয়া সফরও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।

ইমরান অভিযোগ করেন, এসব কারণেই যুক্তরাষ্ট্র তার পতনের ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং স্থানীয় মদদদাতাদের সাহায্যে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ইমরান বলেন, তার অভিজ্ঞতায় পাকিস্তানের অভিজাত শাসকরা দুর্নীতিগ্রস্ত, নরম ও দাস প্রকৃতির। এরা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। এ ধরনের লোককে আমাদের ওপরে বসানো (সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান বানানো) দেশের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং পাকিস্তানের জনগণের প্রতি অসম্মান।