কোভিড ছড়িয়ে পড়েছে উ. কোরিয়ায়, একদিনেই আক্রান্ত প্রায় ৩ লাখ

উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। সে দেশের বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনে ২ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ ‘অজ্ঞাত রোগে’ আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ১৫ জন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবার প্রয়াত এক কর্মকর্তার মরদেহ দেখতে যান

উত্তর কোরিয়ার জরুরি মহামারি প্রতিরোধ দপ্তর বলেছে, বিশ্বজুড়ে কোভিড প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় ‘তীব্র জ্বর’ ও ‘অজ্ঞাত জ্বর’ ছড়াতে শুরু করে এপ্রিল মাস শেষের পর থেকে। এ পর্যন্ত সারাদেশে আক্রান্ত ৮ লাখ ২০ হাজার ৬২০ জন রোগী নিবন্ধন হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০ জন সেরে উঠেছেন এবং ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ জনের চিকিৎসা চলছে।

কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ায় আক্রান্ত এক রোগীর দেহে স্টিলথ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের অনেকে জ্ঞান ও সচেতনতার অভাবের কারণে স্টিলথ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের যথাযথ চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত ছিল না।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া সরকার সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে সর্বোচ্চ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এ বিষয়ে কেসিএনএর খবরে বলা হয়, সব প্রদেশ, শহর ও কাউন্টিগুলো সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়েছে। প্রতিটি কর্মক্ষেত্র, কারখানা ও আবাসিক ইউনিটকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন ও বন্ধ করা হয়েছে। সবাইকে নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব প্রচারমাধ্যম ‘করোনাভাইরাস’ অথবা ‘কোভিড’ না বলে ‘অজ্ঞাত জ্বর’ ও ‘তীব্র জ্বর’ বলছে। ধারণা করা হচ্ছে করোনা ভাইরাস টেস্টিং কিট ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির স্বল্পতার কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করছে না।

এদিকে লকডাউনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবার প্রয়াত এক কর্মকর্তার মরদেহ দেখতে যান। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। ইয়াং হিয়ং-সপ নামের নব্বই বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা শুক্রবার মারা যান। তার মৃত্যুর সঙ্গে কোভিডের সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা জানা যায়নি।