আপনি পড়ছেন

পুরো চীনের তুলনায় মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং কাউন্টি খুবই ছোট্ট একটি এলাকা। কিন্তু সেখানে কারাদণ্ডের হার পুরো যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। ২০১৩ সালে প্রকাশিত চীনের সবশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এটি ৩০ গুণ বেশি! মজার ব্যাপার হচ্ছে, জিনজিয়াংয়ের অধিকাংশ কয়েদির অপরাধ- ঝগড়া উস্কে দেয়া, ঝামেলা বাধানো। খবর এপি।

uighur muslim 1কারাগারে আটক স্বজনের ছবি দেখাচ্ছেন এক উইঘুর মুসলমান

এপি এক প্রতিবেদনে জানায়, চীন উইঘুরদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ডের ওপর ওপর নির্ভর করছে, দমনের অস্ত্র হিসাবে এ আইনকেই তারা ব্যবহার করছে। এ পর্যন্ত তারা ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলমানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। ফলে এ অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে চীনা কর্মকর্তারা ২০১৯ সালে স্বল্পমেয়াদী, বিচারবহির্ভূত বন্দিশিবির বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই শিবিরগুলোতে উইঘুরদের উল্লেখযোগ্য কোনো অভিযোগ ছাড়াই নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে সেই ঘোষণার পরও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে হাজার হাজার উইঘুরকে এখনো বছরের পর বছর, এমনকি কয়েক দশক ধরে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে।

uighur jailচীনের একটি বন্দিশিবির

উইঘুর কৃষক রোজিকারি তোহতিকে ধর্মীয় চরমপন্থার জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে বন্দীশিবিরে পাঠানো হয়েছিল। অথচ ধর্মের প্রতি তার সামান্যতম আগ্রহ ছিল না। তোহতির ছোট ভাই আবলিকিম তোহতিকেও সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য জনসাধারণকে একত্রিত করার অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তোহতির প্রতিবেশী নুর মোহাম্মদ দাউদ নামের এক কৃষককেও ১১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল ঝগড়া করা ও ঝামেলা উস্কে দেওয়ার অপরাধে।

দেখা গেছে, এভাবেই কোনাশেহের কাউন্টি গ্রামীণ দক্ষিণ জিনজিয়াংয়ের প্রচুর লোক সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। তাদের সাজা ছিল দুই থেকে ২৫ বছর মেয়াদী, গড় হিসাবে সেটা নয় বছর। বেশিরভাগকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০১৭ সালে। জিনজিয়াংয়ের নির্বাসিত উইঘুরদের মতে, তাদের সাজা এত দীর্ঘ যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর এখনও কারাগারেই অবস্থান করছে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ সব বয়সের লোকজনই আছে। মিল শুধু এক জায়গায়- তারা সবাই উইঘুর মুসলিম।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে উইঘুর হওয়ার কারণেই এসব লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী সাজা দেওয়া হয়েছে। জিনজিয়াংয়ের সরকারি মুখপাত্র এলিজান আনায়াত দাবি করেন, আমরা কখনোই কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল, জাতিগোষ্ঠী, ধর্মের কাউকে লক্ষ্যবস্তু করিনি। 

জিনজিয়াংয়ের গণ বন্দীকরণ ব্যবস্থার একজন বিশেষজ্ঞ ড্যারেন বাইলার বলেছেন, বেশিরভাগ গ্রেপ্তারই সমাজের প্রচলিত অপরাধের চেয়ে ভিন্ন কিছু কারণে হয়েছে। যেমন আত্মীয় বিদেশে থাকা বা নির্দিষ্ট সেল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা ইত্যাদি অপরাধে।

বাইলার বলেন, আসলেই এটি ভয়াবহ। কারণ অন্য কোথাও আমরা এভাবে সমগ্র জনসংখ্যাকে সন্ত্রাসী হিসাবে বর্ণনা করতে বা সন্ত্রাসী হিসাবে দেখাতে দেখিনি।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.