কিউবার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল যুক্তরাষ্ট্র

কিউবার ওপর আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের অনুমোদিত নতুন ব্যবস্থার অধীনে পারিবারিক রেমিট্যান্স এবং দেশটিতে ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। কিউবানদের জন্য মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত করা হবে। বারাক ওবামার নীতি বদলে ট্রাম্প প্রশাসন কিউবায় কঠোরতা জারি করেছিলেন। বিবিসি।

জো বাইডেন

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে কিউবার নাগরিকরা ‘সরকারি নিপীড়ন’ থেকে মুক্ত জীবনযাপন করতে পারবেন। নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার ফলে পারিবারিক রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিউবান অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও শিথিল হবে।

তবে কিউবার কোনো সংস্থাকে নেতিবাচক তালিকা থেকে সরানো হবে না। ট্রাম্প সরকার হাভানার কমিউনিস্ট সরকারের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলোর সাথে মার্কিন নাগরিকদের ব্যবসা করতে বাধা দিয়েছিল। বাইডেন প্রশাসনের একজন আধিকারিক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, হাভানায় এখন আরও চার্টার এবং বাণিজ্যিক ফ্লাইট অবতরণ করতে পারবে। মার্কিন কনস্যুলার পরিষেবাগুলোও প্রসারিত করা হবে এবং পারিবারিক পুনর্মিলন কর্মসূচিগুলো পুনরায় চালু করা হবে।

কিউবায় নিপীড়ন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে কিউবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে কিউবান সরকারের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তার প্রশাসন ভিসা প্রসেসিং সুবিধা ও রেমিট্যান্স সীমিত করে। মার্কিন নাগরিকদের পারিবারিক পরিদর্শন ব্যতীত অন্য যে কোনো কারণে কিউবায় ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, বর্তমান শিথিলের নীতিটি ১৯৬২ সাল থেকে জারি করা সব নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে না। কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলনীতিতে পরিবর্তন হচ্ছে না।

এদিকে কিউবার সাথে শিথিলের নীতির নিন্দা করেছেন খোদ বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সিনিয়র সদস্য। সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান সেনেটর বব মেনেনডেজ বলেছেন, কিউবার সরকার দেশটির সকল স্তরের অগণিত নাগরিকের ওপর নির্মম নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, যারা এখনও বিশ্বাস করে ক্রমবর্ধমান শিথিলতা কিউবায় গণতন্ত্রের জন্ম নেবে, তারা ভুলের মধ্যে রয়েছেন। কয়েক দশক ধরে কিউবায় কোনো কিছুর পরিবর্তন হয়নি। রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বাইডেনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।