নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে খাদ্য সংকট দূর করতে প্রস্তুত পুতিন

বিশ্বব্যাপী চলছে খাদ্য সংকট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই এই সংকটের শুরু। এর প্রধার কারণ ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে তিনি খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করতে প্রস্তুত। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাঘির সাথে কথা বলার সময় এ মনোভাব ব্যক্ত করেন তিনি। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন বলেন, যদি পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তবে মস্কো খাদ্য সংকট নিরসনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ান ফেডারেশন পশ্চিমাদের রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া সাপেক্ষে শস্য ও সার রপ্তানির পথ উন্মুক্ত করতে চায়। এর মাধ্যমে খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রস্তুত।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজভ এবং কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে বেসামরিক জাহাজ প্রস্থানের জন্য প্রতিদিন মানবিক করিডোর খোলাসহ নৌ-চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও রাজি পুতিন। তবে বিশ্ববাজারে খাদ্য সরবরাহের সমস্যার জন্য রাশিয়া দায়ী- এ অভিযোগকে পুতিন ‘ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন।

পূর্ব ইউক্রেনের সামরিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ: ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে যা বলা হচ্ছে, বাস্তবতা তার চেয়েও খারাপ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনের এখন ভারী অস্ত্র দরকার।

টুইটার ব্যবহারকারীদের সঙ্গে একটি লাইভ প্রশ্নোত্তর অধিবেশনে অংশ নিয়ে কুলেবা বলেন, রাশিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা সত্যিই হচ্ছে না। এর আগে কুলেবা এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইউক্রেনের দরকার রকেট লাঞ্চার সিস্টেম। এজন্য তিনি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার আহ্বান জানান।

ইউক্রেন যুদ্ধ বর্তমানে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ রেখেছে পুতিন বাহিনী। ডনবাসের ৪০টি শহর তারা টার্গেট করেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। এসব শহর রক্ষায় ইউক্রেনীয় বাহিনী মূলত কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না।