অস্থিশীলতার শঙ্কা, সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে জাপান!

জাপান তার সামরিক সক্ষমতাকে ‘ব্যাপক শক্তিশালী’ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। রয়টার্সের হাতে আসা অর্থনৈতিক নীতি সংক্রান্ত এক নথিতে জাপানের এই পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। নথি অনুসারে, দেশটির কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ পূর্ব এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।

ফুমিও কিশিদা

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক করেন। সেখানেও তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা বাজেট ‘যথেষ্ট বৃদ্ধি’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নথিটি মূলত জাপানের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক রূপরেখা, যা প্রতিবছর হালনাগাদ করা হয়। তবে এতে সামরিক ব্যয় সম্পর্কে বিশদ বিবরণ নেই। প্রথমবারের মতো জাপান মনে করছে, পূর্ব এশিয়ায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে কঠোর করে তুলেছে।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

জাপানের এই পরিকল্পনায় এ অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্লেখ নেই। তবে দেশটির সামরিক পরিকল্পনাবিদরা চীন সম্পর্কে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ চীন ও উত্তর কোরিয়ার সাথে জাপানের দীর্ঘকাল ধরে চলমান আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে।

খসড়া নথিতে বলা হয়েছে, আমরা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করব, যা জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার জন্য চূড়ান্ত ভূমিকা রাখবে।

নিপ্পন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ব্যয় এবং উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির আলোকে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গতকাল বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের জন্য প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিরক্ষা ব্যয় বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন। পরিমাণটি দেশটির জিডিপির ২ শতাংশের সমান।

দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ তাকুয়া হোশিনো বলেন, খরচের চাপের কোনো শেষ নেই। আজ শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ২.৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন মূল্যের একটি অতিরিক্ত বাজেট অনুমোদন করেছে। উচ্চকক্ষ আগামী সপ্তাহে বাজেটটি আইনে পরিণত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হোশিনো বলেন, আগামী জুলাই মাসে কিশিদা জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন। আরেকটি সম্পূরক বাজেট চুক্তি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক অফ জাপানের দেওয়া অতি-নিম্ন ঋণের খরচের ওপর নির্ভর করা ছাড়া তহবিল সুরক্ষিত করার কোনো পন্থা আছে কি-না, সে প্রশ্ন রয়েই যায়।