ভারতসহ সবার জন্য উন্মুক্ত আফগানিস্তান

ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আনাস হাক্কানি বলেছেন, এ দেশ সবার জন্য উন্মুক্ত। এমনকি আমরা ভারতকেও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আফগানিস্তানে ভারতের যা কিছু আছে তা বর্তমান আফগান সরকারের অধীনে তারা পুনরুদ্ধার করে নিয়ে যেতে পারে। সিএনএন, নিউজ এইটিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাক্কানি এসব কথা বলেন।

ভারতসহ সবার জন্য উন্মুক্ত আফগানিস্তান

ভারতকে কাবুলে তার দূতাবাস পুনরায় চালু করা এবং আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাক্কানি বলেন, আমরা চাই ভারত কাবুলে পুনরায় তার দূতাবাস চালু করুক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আফগান জনগণের সাথে মিশুক। এ দেশে কোনো সমস্যা নেই এবং এর দরজাও খোলা। তাই আসুন এবং পুরোনো বন্ধু হিসাবে আমাদের সাথে থাকুন।

এর আগে ইসলামিক আমিরাতের কাতারভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সুহেল শাহিন বলেছিলেন, দেশটি কাবুলে তার দূতাবাস পুনরায় চালু করলে ইসলামিক আমিরাত ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেবে।

আনাস হাক্কানি

এদিকে দেশটির সাবেক কূটনীতিক আজিজ মারিজ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শর্ত মেনে নেওয়াই ইসলামিক আমিরাতের সরকারের জন্য ভালো। তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সরকারকে স্বীকৃতি দেবে, কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হবে এবং বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আগের সরকারের সময় কাবুলে প্রায় ৪৬টি বিদেশি দূতাবাস সক্রিয় ছিল এবং ৭৮টিরও বেশি আফগান দূতাবাস ও কনস্যুলেট বিভিন্ন দেশে সক্রিয় ছিল। বর্তমানে পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন, ইরান, তুরস্ক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও উজবেকিস্তান আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস খুলেছে। তবে এ পর্যন্ত আফগান সরকারকে কোনো দেশই স্বীকৃতি দেয়নি।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক জাভিদ সাংডেল এখনও আফগানিস্তানে অনেক দেশের দূতাবাস বন্ধ থাকার ব্যাপারে বলেন, আফগানিস্তানের অনিশ্চিত ভাগ্য এবং শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে কূটনৈতিক দূরত্বের কারণেই অনেক দেশ আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস পুনরায় খুলতে আগ্রহী হচ্ছে না। শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে বিবদমান ইস্যুগুলোর মীমাংসা হয়ে গেলে এসব বাধা কেটে যাবে।