পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়ার সাথে সার্বিয়ার গ্যাসচুক্তি

বিশ্বজুড়ে যখন রাশিয়াকে বয়কটের ডাক চলছে, তখন দেশটির সঙ্গে নতুন করে তিন বছরের গ্যাস সরবরাহের চুক্তি নিশ্চিত করছে সার্বিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক ঘোষণা করেন, অত্যন্ত অনুকূল শর্তে এই চুক্তি করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে টেলিফোনে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিটি নিশ্চিত হওয়ার পর সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তিন বছরের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ চুক্তি নিশ্চিত হয়েছে। আমি যা বলতে পারি তা হলো, আমরা প্রধান যে বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি সেগুলো সার্বিয়ার পক্ষে খুবই অনুকূল।

ভুসিক দাবি করেন, তিনি সার্বিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিয়ে যেতে চান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি দীর্ঘ সময়ের মিত্র রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের স্পষ্ট নিন্দা করতেও অস্বীকার করেছেন এবং তার দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা কোনো নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়নি।

রাশিয়ার সাথে গ্যাস চুক্তি করছে সার্বিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াতে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করেছে মস্কো। এরপর সার্বিয়ার সাথে চুক্তিটি সই করলো রাশিয়া। আগামী মাসের প্রথম দিকে রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বেলগ্রেড সফরের সময় চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হতে পারে।

সার্বিয়ার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেওয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ দিচ্ছেন। সার্বিয়ান কর্মকর্তারা বলছেন, বলকান দেশটিকে অবশ্যই এ ধরনের চাপ প্রতিহত করতে হবে, যদিও এর অর্থ ইইউতে যোগদানের লক্ষ্য পরিত্যাগ করা নয়।

সার্বিয়া প্রায় সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল এবং এর প্রধান শক্তি সংস্থাগুলো রাশিয়ান সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানার অধীনে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা রাশিয়ার সাথে এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি তার সদস্য দেশগুলোর ওপর দিয়ে যাওয়া রাশিয়ান লাইনের সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সার্বিয়া কীভাবে রাশিয়ান গ্যাস পাবে তা স্পষ্ট নয়।