খেরসন শহর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, প্রশাসন চালাচ্ছে রুশ সেনারা

রাশিয়ান বাহিনী একে একে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর দখলে নিচ্ছে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরটি অনেক আগেই দখলে নেয় তারা। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ অধিকৃত খেরসন অঞ্চলের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রুশ সেনাদের টহল

বিশেষ যোগাযোগ ও তথ্য সুরক্ষার জন্য গঠিত ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পরিষেবা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলকারী রুশ সেনারা প্রশাসন গঠন করেছে। সেখানে এখন বহু সংখ্যক রুশ সেনা অবস্থান করছে। তারা ইউক্রেনের সাথে সংযুক্ত যোগাযোগ তারগুলো বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। যুদ্ধ সরঞ্জামগুলো আরও সক্রিয় করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বলেছে, খেরসন অঞ্চলের বাসিন্দারা বর্তমানে ইউক্রেনীয় মোবাইলে যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ছাড়াই দিন যাপন করছে। সেই সাথে ল্যান্ডলাইন ফোন ডিভাইসও ব্যবহার করতে পারছে না। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে যোগাযোগের কোনো উপায় নেই তাদের। খেরসন ইউক্রেন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গেছে।

ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ

রাশিয়ার কবজায় সিভিয়ারোডোনেস্ক শহর: রাশিয়ান বাহিনী এখন পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান শহর সিভিয়ারোডোনেস্কের ‘বেশিরভাগ’ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করছে। একজন আঞ্চলিক গভর্নর বলেছেন, প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা মস্কো থেকে গ্যাস নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে তারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় রাশিয়া আরও চাপ দিচ্ছে। তারা শহরটি একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছে।

সিভিয়ারোডোনেস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। শহরটিতে ইউক্রেনের শিল্প কেন্দ্রগুলো অবস্থিত। এ শহর দখলের মাধ্যমে রাশিয়ার ডনবাসের লুহানস্ক অঞ্চল দখলের পথে রয়েছে। যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে কিয়েভকে দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর মস্কো সিংহভাগ শক্তি এখন এ অঞ্চল দখলে ব্যয় করছে।

লুহানস্কের গভর্নর সের্গেই গেইডে একটি ভিডিওতে বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত আজ রাশিয়ান সৈন্যরা শহরের বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা এখন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ঝুঁকিতে নেই। কোনো প্রতিরোধের মুখে তাদের পড়তে হচ্ছে না।