আপনি পড়ছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে ট্যাংক ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, লক্ষ্যভেদী রকেট ও গোলাবারুদসহ বেশকিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না এবং ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার কোনো যুদ্ধ চায় না বলে তিনি জানিয়েছেন।

biden sideview tlsdইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও কৌশল নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন জো বাইডেন

ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি নিবন্ধ লিখেছেন জো বাইডেন। ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে কি করবে ও কি করবে না’ শিরোনামে লেখা নিবন্ধে তিনি ইউক্রেনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় রুশ আক্রমণের প্রভাব, পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কাসহ নানা বিষয় আলোচনা করেছেন।

বাইডেন তার নিবন্ধের শুরুতে লিখেছেন, কয়েক দিনের মধ্যে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন দখল করবেন বলে আশা করা হলেও এখন যুদ্ধের চার মাস চলছে। ইউক্রেনের জনগণ তাদের আত্মত্যাগ, প্রত্যয় ও যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য দিয়ে রাশিয়াকে চমকে দিয়েছে এবং সারাবিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে অনেক দেশ নজিরবিহীন সামরিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত কূটনৈতিকভাবেই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটবে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থনৈতিক সহায়তা জোগানো অব্যাহত রাখবে যাতে দেশটি শক্তির জায়গা থেকে আলোচনার টেবিলে বসতে পারে।

বিদ্যমান বৈশ্বিক খাদ্য সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মিত্র ও অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করব বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায়, যা রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে তীব্রতর হয়েছে। রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির উপর ইউরোপীয় মিত্রদের নির্ভরতা কমাতেও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের ও অন্যান্য মিত্র দেশের সৈন্য ও সামর্থ্য নিয়ে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় বাহু জোরদারে কাজ করবে। একইসঙ্গে দুটি গণতান্ত্রিক ও অত্যন্ত সমর্থ অংশীদার সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।

যুক্তরাষ্ট্র যা যা করবে না সে কথা জানাতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াব না এবং ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। ইউক্রেনে মার্কিন সৈন্য পাঠিয়ে অথবা রুশ সৈন্যদের উপর আক্রমণের মাধ্যমে আমরা সরাসরি এ সংঘাতে অংশ সমর্থ নেব না। আমরা ইউক্রেনকে তাদের ভূখণ্ডের বাইরে আক্রমণ চালাতে উৎসাহ বা সুযোগ দিচ্ছি না। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাশিয়াকে কোনো জায়গা ছেড়ে দিতে ইউক্রেনকে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা থেমে যাবার জন্যও তিনি মস্কোকে দায়ী করেন।

বাইডেন বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা এ কারণে থেমে যায়নি যে ইউক্রেন কূটনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বরং আলোচনায় অচলাবস্থা নেমে এসেছে কারণ রাশিয়া যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে এবং ইউক্রেনের যত বেশি জায়গার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায় সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে যদি চড়া মূল্য না দিতে হয় তাহলে অন্যান্য সম্ভাব্য আগ্রাসনকারীরা ভুল সংকেত পাবে। তারা ভাববে তারাও অন্য দেশের ভূখণ্ড দখল করবে। এতে করে শান্তিকামী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অস্তিত্ব ঝুঁকিতে পড়বে। আর সেটা হলে আন্তর্জাতিক বিধি-ব্যবস্থা বলে কিছু থাকবে না।

বিশ্বের অনেক মানুষ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কায় ভূগছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইচ্ছা আছে, এমন কোনো আভাস যুক্তরাষ্ট্র পায়নি। এ যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের কোনো ধরনের ব্যবহার আমাদের কাছে এবং বিশ্বের অন্যান্যদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং তার জন্য কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.