লাদাখ নিয়ে চীন-ভারতের দুই ডজন বৈঠক, আসেনি সমাধান

দুই বছর আগে লাদাখ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চীন। সে লড়াইয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছিল ভারত। এরপর দুই দেশই সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে। বাড়িয়েছে বৈঠকের সংখ্যাও। তবে এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে ২৪টি বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

লাদাখ সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে দুই ভারতীয় সেনা

খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার সীমান্ত ইস্যুতে ওয়ার্কিং মেকানিজমের ২৪তম বৈঠকে মিলিত হয় ভারত ও চীন। বৈঠকে ভারতীয় পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব এবং চীনা পক্ষের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমানা ও মহাসাগর বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক হং লিয়াং। গত ২৩ বারের মতো এবারও কোনো ধরনের দেখা মেলেনি। উল্টো উভয় পক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে দায় সেরেছে।

বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উভয় পক্ষ পূর্ব লাদাখের পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকের পরবর্তী রাউন্ড আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। 

ভারত ও চীন

ভারতের সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে গত দুই বছরে লাদাখ সীমান্তে চীন অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তারা সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করছে। এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে চীন যে ব্যাখ্যাই দিক না কেন, সীমান্ত সংঘাতে এ সেতু ব্যবহার করে খুব দ্রুত সেনা পৌঁছাতে পারবে। এছাড়া তারা সীমান্তবর্তী ঘাঁটিগুলো সুসজ্জিত করেছে। তাই কালক্ষেপণ করে চীন নিজেকে আরো শক্তিশালী করে তুলছে।

সংঘাতের জেরে মাঝে মধ্যেই সীমান্ত পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। ফলে উভয় দেশ সীমান্তে ব্যাপকহারে সেনা মোতায়েন করেছে। জানা গেছে, বর্তমানে দুই দেশের ৫০-৬০ হাজার সেনা ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।