পশ্চিমা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ইন্টারপোলের শঙ্কা, মস্কোর হুঁশিয়ারি

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনে পাঠানো পশ্চিমা অস্ত্র নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইন্টারপোল। সংস্থাটি মনে করছে, ইউক্রেনে পাঠানো অনেক অস্ত্র শেষ পর্যন্ত ইউরোপ এবং তার বাইরের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে চলে যেতে পারে। এজন্য ইন্টারপোল দেশগুলোকে অস্ত্র-ট্র্যাকিং ডেটাবেস পরীক্ষা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইন্টারপোল

ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল জুর্গেন স্টক বলছেন, বর্তমান সংঘাতের মধ্যে ইউক্রেনে ব্যাপকহারে অস্ত্র পাঠাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর ফলে সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার ঘটবে। যুদ্ধে সহায়তার জন্য পাঠানো অস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে পড়বে এবং তাদের অপরাধ সক্ষমতা বেড়ে যাবে। সন্ত্রাসীরা ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা কাজে লাগাতে চাইবে।

মার্কিন রকেট যুদ্ধ প্রসারিত করবে: রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনে মার্কিন উন্নত রকেট লঞ্চার সরবরাহের ফলে যুদ্ধ প্রসারিত হবে। এসব অস্ত্র সংঘাতে তৃতীয় কোনো দেশটে টেনে আনতে পারে। সৌদি আরবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

ল্যাভরভ মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে রকেট সরবরাহ করবে, তা দূরপাল্লার রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে। এতে সংঘাত আরও বাড়বে।

মার্কিন রকেট রাশিয়াকে আঘাতের জন্য নয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে উন্নত রকেট সিস্টেম সরবরাহ করবে। তবে হোয়াইট হাউস বলছে, রকেটগুলো রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য নয়। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন যুদ্ধ বাড়াতে চায় না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোমধ্যে ৭০০ মিলিয়ন অস্ত্র প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনকে রকেট সিস্টেম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব রকেট ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রুশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন ফিনার বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা এই রকেট সিস্টেমের জন্য অনুরোধ করেছিল এবং ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, এটি তাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।