১০০ দিনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই থামবে বলে মনে হচ্ছে না। বিশ্বকে এক নিদারুণ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে পুতিনের ‌'বিশেষ সামরিক অপারেশন'। গড়িয়েছে ১০০ দিনে। একদিকে নাছোড়বান্দা পুতিন, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর মার্কিন সহায়তায় রাশিয়াকে কোনোমতে ঠেকিয়ে রাখা ইউক্রেন। বিবিসি, এএফপি।

১০০ দিনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

এই যুদ্ধে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সংকট যেমন বেড়েছে, তেমনি যুদ্ধের আঁচ পড়েছে বিশ্বজুড়ে। সবমিলিয়ে যুদ্ধের ১০০ দিনে রাশিয়ার অর্জন পূর্ব ইউক্রেনে নিজেদের একক আধিপত্য। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি শহর। বিশ্বকে নিয়ে গেছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার তীরে।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসনে নেমে পড়ে রাশিয়া। পালটা প্রতিক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে মার্কিন নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমা গোষ্ঠী। মাত্র ৩ দিনে কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা থাকলেও ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে মস্কো।

কিয়েভ থেকে পিছু হটে তীব্র আক্রমণ শুরু করে খারকিভ, মারিওপোল, বুচা, খেরসন, দনবাসসহ পুরো পূর্বাঞ্চলে। ইতোমধ্যেই বন্দরনগরী মারিওপোলে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন। এখন পালা দনবাসের। তবে সামনের দিনগুলোতে আরও পালটে যেতে পারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চিত্র। কেননা ইউক্রেনে আরও ভারী অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দুই লাখ শিশু অপহরণের অভিযোগ ইউক্রেনের

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, জোর করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া ইউক্রেনীয়দের মধ্যে দুই লাখ শিশু রয়েছে। এ তালিকায় এতিমখানার শিশু, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুরাও রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এ অপরাধমূলক নীতির উদ্দেশ্য শুধু মানুষ চুরি করা নয় বরং যারা নির্বাসিত হয়েছে তাদের ইউক্রেন সম্পর্কে ভুলিয়ে দেওয়া।

ইউক্রেনে উচ্চ প্রযুক্তির মার্কিন অস্ত্র

ইউক্রেনকে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন জানিয়েছে, এই রকেট সিস্টেম পরিচালনার জন্য তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণের দরকার হবে ইউক্রেন সেনাদের। যদিও পেন্টাগনের নীতিবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা কলিন কাল জানিয়েছেন, নতুন এসব সিস্টেম দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা করা হবে না।