রুশ স্পিকার: ইউক্রেনকে স্বাধীন নয়, উপনিবেশ বানাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন দেখতে চায়। কিন্তু রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কথাটি পুরোটাই মিথ্যা। কারণ মার্কিন নেতৃত্ব ইউক্রেনকে তার উপনিবেশে পরিণত করতে চায়। ইউক্রেনের সব সম্পদ নিজ দেশে তুলে নিয়ে যেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সর্বোপরি রাশিয়াকে দুর্বল করতে তারা কিয়েভকে ব্যবহার করতে চায়। খবর তাস নিউজ।

রাশিয়ার স্টেট দুমা স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন

রাশিয়ার স্টেট দুমা স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এসব কথা লিখেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে ‘গণতান্ত্রিক, স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ’ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আট বছর সময় ছিল। ক্রিমিয়া রাশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার পর মার্কিন উপদেষ্টা ও প্রশিক্ষকরা কিয়েভকে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনের উন্নয়নের পরিবর্তে দেশটিকে লুণ্ঠন করা হয়েছে।

দুমা স্পিকার আরো লেখেন, ইউক্রেনে এই সময়ের মধ্যে অবাঞ্ছিত মিডিয়া বন্ধ করা হয়েছিল, স্বাধীন সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তারা কেউ ইউক্রেনের জনগণের কথা ভাবেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

ভোলোদিন বলেন, ওয়াশিংটনের স্বাধীন ইউক্রেনের প্রয়োজন নেই। মার্কিন নেতৃত্ব এটিকে নিজেদের উপনিবেশে পরিণত করতে চায়। দেশ থেকে সমস্ত সম্পদ লুটপাট করে রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করতে চায়।

এ সময় লিবিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও যুগোস্লাভিয়ার মার্কিন আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে ভোলোদিন বলেন, পুরো বিশ্ব সাক্ষী, যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র এসব দেশকে কী দিয়েছে। এসব দেশকেও ওয়াশিংটন গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু কাজ করেছে পুরো উল্টো। ফলে এক সময়ের উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসের মধ্যে পড়েছে। তাদের নাগরিকরা মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।

এ সময় তিনি আফগানিস্তানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিশ বছর ধরে মার্কিনিরা সে দেশে অবস্থান করেছিল। এতে আড়াই লাখের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। কিন্তু দেশের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি বরং সেখানকার জনসাধারণ আরো দরিদ্র হয়ে পড়েছিল। ইউক্রেন তাদের দখলে গেলে সেখানেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।