ইউক্রেনকে দূরপাল্লার রকেট সহায়তা, ক্ষুব্ধ রাশিয়ার হুংকার

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এতে রাশিয়ার ক্ষতি কিছুটা বাড়লেও ইউক্রেনের ভাগ্য পাল্টাচ্ছে না। রাশিয়া একের পর এক শহর দখলে নিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এবার ইউক্রেনকে দূরপাল্লার রকেট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। জবাবে ক্ষুব্ধ মস্কো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রকে এর ফল ভুগতে হবে।

দিমিত্রি পেসকভ

গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন বিভিন্ন দেশের কাছে অস্ত্র চাইতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র পাঠায়। তবে সেগুলোর অধিকাংশ ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ঠেকানোর জন্য। তবে এবার ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ‘হিমারস রকেট সিস্টেম’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় ক্ষিপ্ত হয়েছে রাশিয়া। সোজাসুজি জানিয়েছে, ইউক্রেনকে এ ধরনের হাতিয়ার দিলে তার ফল ভুগতে হবে ওয়াশিংটনকে।

ইউক্রেনে রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছা করেই উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহের ফলে শান্তি আলোচনা আরো বিলম্বিত হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, মার্কিন প্রশাসনের নতুন ঘোষণার ফলে চলমান এ সংঘাতে তৃতীয় কোনো দেশের জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

মারিওপোলের পর আরো কয়েকটি শহর দখলে জোরদার হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কিয়েভ স্বীকার করেছে, ইউক্রেনের শতকরা ২০ শতাংশ জায়গা এরই মধ্যে রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। প্রায় পৌনে এক কোটি লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দেশের ভেতরে এর চেয়ে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এমতাবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আমেরিকার কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিলেন। রাশিয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে জেলেনস্কির সে আবদার পূরণ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু দুদিন না যেতেই নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন বাইডেন।

মস্কো দাবি করছে, পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার মাধ্যমে এ লড়াইকে আরো দীর্ঘতর করছে। তবে তাদের এ অস্ত্র ইউক্রেনকে মোটেও রক্ষা করতে পারবে না। এখন নতুন করে অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণায় কার্যত রণক্ষেত্রে কী পরিবর্তন আসছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে।