পুতিন: শস্য রপ্তানি করা যাবে, কৃষ্ণসাগরে প্রবেশে বাধা নেই

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি করতে ‘কোনো সমস্যা নেই’। রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনীয় বন্দর দিয়ে বা মধ্য ইউরোপের মাধ্যমেও খাদ্যশস্য রপ্তানি করা যেতে পারে। কৃষ্ণসাগারে জাহাজ প্রবেশে বাধা নেই। টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

পুতিন

মস্কো মনে করে, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি রোধ করার জন্য পুতিনকে অপবাদ দিচ্ছে পশ্চিমারা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা তর্জন-গর্জন শুরু করেছে। পুতিন বলছেন, আজভ সাগরের মারিওপোল এবং বারদিয়ানস্কের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোর মাধ্যমে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা যেতে পারে। এর ফলে কৃষ্ণসাগরে প্রবেশেও কোনো বাধা থাকবে না।

শস্য রপ্তানি নিয়ে মস্কোতে জাতিসংঘ কর্মকর্তার আলোচনা

জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথ কৃষ্ণসাগরের বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি সহজতর করার বিষয়ে মস্কোতে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আলোচনাটি ছিল অকপট ও গঠনমূলক। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, গ্রিফিথস বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষ্ণসাগরের বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্যের চালান বন্ধ হয়ে গেছে। ২০ মিলিয়ন টনেরও বেশি শস্য সিলোত বন্দরে আটকে আছে।

জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গতকাল শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা কী করতে পারি, আর পারি না তা স্পষ্ট করেছি। আমরা উপকূলীয় এলাকায় মাইন স্থাপন করিনি, এটা ইউক্রেনীয়রাই করেছে। তারা যদি এলাকাটি নিরাপদ করে তবে আমরা শস্য বহনকারী জাহাজগুলোর জন্য পথ নিরাপদ করতে প্রস্তুত।

এর আগে জাতিসংঘের সংকট সমন্বয়কারী আমিন আওয়াদ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের সংঘাত বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ, অস্থিতিশীলতা এবং ব্যাপক শরণার্থী সংকট সৃষ্টি করেছে। কারণ রাশিয়া কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো অবরোধ করেছে। রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ খাদ্যশস্য পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, যুদ্ধ ১০০ দিন ধরে চালিয়ে যাওয়া জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যুদ্ধের ফলে কৃষ্ণসাগরের ওপর অচলাবস্থা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ কারণে ১.৭ বিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে রয়েছে।