চার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পরস্পরকে দুষছে ইউক্রেন-রাশিয়া

ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে গতকাল শনিবার ইউক্রেনের ১৭ শতকের ঐতিহাসিক একটি চার্চে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরকে দায়ী করছে। খবর রয়টার্স।

দোনেৎস্কের ঐতিহাসিক চার্চে অগ্নিকাণ্ড

খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের যুদ্ধকবলিত দোনেৎস্কের ঐতিহাসিক চার্চে শনিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে মূল চার্চের প্রায় পুরোটা পুড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিটি চার্চ, স্কুল ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা- ইউনেস্কো থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, সংস্থাটিতে রাশিয়ার কোনো স্থান নেই।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউক্রেনের সংস্কৃতিমন্ত্রী অলেক্সান্ডার তাকাচেঙ্কোও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে চার্চে আগুনের জন্য রাশিয়ান বাহিনীকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ৬০ জন শিশুসহ প্রায় ৩০০ বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয় সেখানে আশ্রয় চেয়েছিল।

অপরদিকে ইউক্রেনের এ চার্চে অগ্নিকাণ্ডে ইউক্রেনকেই দায়ী করেছে রাশিয়া। টেলিগ্রামে পোস্টে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরাই চার্চে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনের ৭৯তম এয়ারবোর্ন অ্যাসল্ট ব্রিগেডের ইউনিটগুলো সিয়াটোহিরস্ক থেকে পিছু হটার সময় ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা কাঠের চার্চটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়ছে, চার্চটির বেশির ভাগই কাঠের। ১৯৪৭ সালে চার্চটি একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২০০৯ সালে কাঠ দিয়ে আবারও সংস্কার করা হয়। এ চার্চটিকে ইউক্রেনের তিনটি সবচেয়ে পবিত্র স্থানের একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক চার্চটি দেখতে আসেন।