অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন বরিস জনসন

পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আজ সোমবার এই ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির কর্মকর্তা গ্রাহাম ব্র্যাডি এ কথা জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের ভেতরে চলা অসন্তোষের জেরে অবশেষে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বরিসকে।

বরিস জনসন

ভোটের রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ্য বলে পরিচিত এ রাজনীতিক বেশ কিছু কেলেঙ্কারি ও বিতর্ক সত্ত্বেও এতদিন বহাল তবিয়তে ক্ষমতায় টিকে আছেন। কিন্তু ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-সংক্রান্ত লকডাউন চলাকালে আইন ভেঙে পার্টি করার খবর বেরিয়ে আসার পর থেকে দলের ভেতরেই তার নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ বেড়ে গেছে।

কনজারভেটিভ পার্টির নাইনটিন নাইনটি টু কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি জানিয়েছেন, দলের ৫৪ জন এমপি জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়ে তার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। পার্টির নিয়ম অনুযায়ী, দলীয় এমপিদের ১৫ শতাংশ কোনো নেতার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানালে তাকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। কাজেই বরিস জনসনকে সোমবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টে ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পতাকা

কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৯ জন এমপির মধ্যে সিংহভাগ যদি জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন, তাহলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে আজই ক্ষমতা হারাতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল নতুন একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে।

বরিস জনসন আজকের আস্থা ভোটে টিকে যাবার সম্ভাবনা বেশি মনে হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে দলের নিয়ম অনুযায়ী আগামী একবছর তাকে নতুন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে না। তবে খুব কম ভোটের ব্যবধানে আজ ক্ষমতায় টিকে গেলে তাকে যে কোনো সময় নতুন ঝাঁকুনির শিকার হতে হবে।

অনাস্থা ভোটের ফলাফল যা-ই হোক, ১৫ শতাংশেরও বেশি এমপি যে জনসনের বিরুদ্ধে এমন ভোট চাইছেন, এ থেকেই কনজারভেটিভ পার্টিতে তাকে ঘিরে বিভাজন ও আস্থাহীনতার স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ আস্থা ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েকমাস ধরে চলতে থাকা গুঞ্জন পেছনে ফেলে জনগণের প্রাধিকারকে গুরুত্ব দিতে সামনে এগোনোর একটি সুযোগ আসছে আজ রাতে।