সার্বিয়াকে ক্রোয়েশিয়া: ইইউতে যেতে হলে রাশিয়াকে ছাড়তে হবে

ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সার্বিয়াকে অবশ্যই রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নিতে হবে। গতকাল সোমবার ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু।

পুতিনের সাথে আলেকসান্ডার ভুসিক, ফাইল ছবি

প্লেনকোভিচ বলেন, যদি সার্বিয়ার মধ্যে ইইউতে তার যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে, তবে এটি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা জানতে হবে দেশটিকে। কারণ এখন দুটি চেয়ারে বসার সময় নয়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বেলগ্রেডে সফর বাতিল ইস্যুতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি মন্টিনিগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া ও বুলগেরিয়া ল্যাভরভের বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করার পর তিনি দুই দিনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। গতকাল সোমবার এ সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল। সফরে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিকের সাথে আলোচনা করার শিডিউল ছিল ল্যাভরভের।

ইইউতে অন্তর্ভুক্ত হতে চায় সার্বিয়া

সার্বিয়ার ব্যাপারে প্লেনকোভিচ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিকে খুব সতর্ক হওয়া উচিত, জানা উচিত যে তারা কার পাশে আছে। এখানে ক্রোয়েশিয়ার কিছু করার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি মস্কো এবং বেলগ্রেডের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়।

সার্বিয়া ইউরোপের একটি দেশ, যেটি পুরোপুরিভাবে রাশিয়ান গ্যাস ও তেলের উপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তির ইচ্ছা এবং দেশের স্বার্থে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক রাখা দুটিই সার্বিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় মস্কোর সঙ্গ ছাড়ার জন্য সার্বিয়ার ওপর বড় ধরনের চাপ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন সার্ব প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক।

ভুসিক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাই খুব সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। একদিকে ব্যক্ত করেছেন, রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে বেলগ্রেডকে অনেক মূল্য দিতে হবে। পাশাপাশি ইইউকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন, সার্বিয়া ইইউর পথে রয়েছে এবং এটিই ছিল দেশের একমাত্র নীতি।

রাশিয়ান জ্বালানি খাতের জায়ান্ট গ্যাজপ্রমের সাথে সার্বিয়ার ১০ বছরের গ্যাস সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ গত মাসে শেষ হয়ে যায়। পরে উভয় পক্ষ তিন বছরের জন্য এ চুক্তি নবায়ন করতে সম্মত হয়। শিগগিরই চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।