ইউক্রেনে বায়োল্যাব: রাশিয়ার অভিযোগ স্বীকার করল পেন্টাগন!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন এক নথিতে জানিয়েছে, মার্কিন সরকার গত ২০ বছরে ইউক্রেনে ৪৬টি জৈবিক গবেষণাগার পরিচালনায় সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ নথিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং অবিশ্বাসের বীজ বপন করার জন্য রাশিয়া ও চীনকে অভিযুক্ত করেছে। খবর আল মানার নিউজ।

পেন্টাগন

‘ফ্যাক্ট শিট অন ডব্লিউএমডি থ্রেট রিডাকশন এফোর্ডস’ শিরোনামের এ নথিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে মার্কিন সরকারের স্পন্সর করা বায়োল্যাবগুলোর কথা প্রকাশ করে।

পেন্টাগন দাবি করে, বায়োল্যাবগুলো শান্তিপূর্ণ জনস্বাস্থ্য প্রকল্পের অংশ ছিল এবং এতে জৈবিক অস্ত্র তৈরির কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। ইউক্রেনের জৈবিক নিরাপত্তা এবং মানব ও প্রাণী উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য রোগ নজরদারি উন্নত করতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করেছে এসব বায়োল্যাব। মার্কিন সামরিক বাহিনী দাবি করে, গত দুই দশক ধরে ৪৬টি শান্তিপূর্ণ ইউক্রেনীয় পরীক্ষাগার, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং রোগ নির্ণয়ের সাইটে তারা সহায়তা দিয়েছে।

বায়োল্যাব, ফাইল ছবি

পেন্টাগন আরো দাবি করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমাল হেলথের (ওআইই) মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় বায়োল্যাবগুলো পরিচালিত হয়েছিল। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সব নিয়মকানুন মেনেই এর গবেষণা ও ফল প্রকাশ-প্রচার করা হতো।

ইউক্রেনে হামলার কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়ার তেজস্ক্রিয়, রাসায়নিক ও জৈবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কিরিলোভ দাবি করেছিলেন, তারা দেশটিতে জীবাণু অস্ত্র তৈরির কয়েকটি গবেষণাগারের সন্ধান পেয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এসব পরিচালনা করে বলেও দাবি করে তারা।

রাশিয়ার এই দাবির তেমন কোনো প্রতিবাদ করেনি ওয়াশিংটন। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ইউরোপ থেকে শুরু করে আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জীবাণু অস্ত্রের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন সম্ভবত পেন্টাগনের জন্য সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

সে সময় এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না জানালেও তার প্রায় তিন মাস পরে এসে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।