ক্যাপিটলে দাঙ্গা: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিলল যথেষ্ট প্রমাণ

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার জন্য মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গা হয়। সেই দাঙ্গার তদন্তকারী হাউস কমিটির সদস্যরা বলেছেন, তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপরাধমূলক অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

কমিটি গতকাল রোববার ঘোষণা করেছে, ট্রাম্পের প্রচারাভিযান ম্যানেজার বিল স্টেপিয়েন আজ সোমবারের শুনানিতে সাক্ষ্য দেবেন, যা নির্বাচনের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে অভিযুক্ত করবে।

কমিটির সদস্য অ্যাডাম শিফ বলেছেন, বিচার বিভাগ দেখতে চায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও নির্বাচনে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগের তদন্ত করা হোক। নির্বানের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা ছিল, তদন্তে এমন প্রমাণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। অ্যাডাম শিফ হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটিরও নেতৃত্বে রয়েছেন।

ভুল তথ্য প্রচারণা: কমিটি গত সপ্তাহে প্রথম জনশুনানি করে। সেখানে তুলে ধরা হয়, কীভাবে ট্রাম্প নিরলসভাবে একটি কারচুপির নির্বাচনের মিথ্যা দাবির প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি জো বাইডেনের বিজয় ঠেকাতে মিথ্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। যদিও ট্রাম্পের একাধিক উপদেষ্টা ট্রাম্পের সাথে একমত নন।

আজ সোমবারের শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ প্রকাশ করা হবে, যাতে দেখা যাবে, ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টা ভুল তথ্য ছড়াতে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। এমনকি তারা বিচার বিভাগকে মিথ্যা দাবি গ্রহণ করার জন্য চাপও সৃষ্টি করেছিলেন। এজন্য তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও অনুরোধ করা হয়েছিল।

এদিকে আইন প্রণেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, শুনানির সময় সম্ভবত তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শ্রোতা সদস্য হতে পারেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড। তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তার বিভাগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে কিংবা করা উচিত কি না।

অ্যাডাম শিফ বলছেন, বিচার বিভাগের হাতে প্রমাণগুলো আসার পর তা তদন্ত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকলে তা করতেই হবে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল কীভাবে বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করেননি। কারণ এর আগে কোনো প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্ট এরকম নজিরবিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত হননি।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হামলায় ১০০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছিলেন। অনেককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। ট্রাম্প সমর্থরা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে ভবনে প্রবেশ করেছিল। দাঙ্গায় অন্তত নয় জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যিনি পুলিশের গুলিতে মারা যান।