ইইউ শীর্ষ সম্মেলন আসন্ন, ‘সবুজ সংকেত’ পেল ইউক্রেন

আগামী ২৩-২৪ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান সামিট বা ইইউ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রার্থিতা অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। ইউরোপীয় কমিশন ইউক্রেনের দাবিকে অনেক এগিয়ে রেখেছে।

ইইউ-এর পতাকা

ইইউর তিন শক্তিশালী দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির প্রধানরা কিয়েভ সফরে ইউক্রেনের দাবি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ইউক্রেনের পক্ষে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ইউক্রেনের দাবিটি অগ্রাধিকার পাচ্ছে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

খবরে বলা হচ্ছে, ইইউ প্রার্থিতা সম্পর্কে এত দ্রুত মতামত আগে কখনও দেওয়া হয়নি। শীর্ষ সম্মেলনে মতামতটি ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এ অবস্থায় নেতারা ইউক্রেনের প্রার্থীর মর্যাদা অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কঠোর শর্ত থাকবে এবং সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর বা এমনকি কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন

ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং রোমানিয়া সবাই ইউক্রেনের ‘তাৎক্ষণিক’ প্রার্থীর মর্যাদা পাওয়ার পক্ষে রয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ট্রেনে করে ইউক্রেনে পৌঁছেন এবং কিয়েভ শহরতলির ইরপিন পরিদর্শন করেছেন। ইরপিনে রয়েছে যুদ্ধের ভয়াবহতার প্রমাণ।

ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর আগে থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইইউ সদস্য পদ পাওয়ার জন্য চিৎকার করে আসছিলেন। কিন্তু তখন ইইউ প্রশাসন খুব বেশি আমলে নেয়নি। এমনকি রুশ হামলা শুরুর পরও ইইউ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, তাৎক্ষণিক সদস্য পদ দেওয়া সম্ভব নয়।

পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আজ ইইউ মেম্বারশিপ থাকলে রাশিয়া এই ভয়াবহ হামলা চালানোর সাহস পেত না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের পক্ষে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে ব্যাপকহারে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক নিষেধাজ্ঞাও এসেছে জেলেনস্কির পক্ষে।