ভেঙে যাচ্ছে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট, শিগগিরই নির্বাচন

মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার অনেক আগেই ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলের বর্তমান পার্লামেন্ট। এর ফলে আরও একটি নতুন নির্বাচন দেখতে চলেছে ইসরায়েলি ভোটাররা। শাসক জোটের নেতারা একটি নির্বাচন দিতে সম্মত হয়েছেন। এর ফলে সরকার ভেঙ্গে যাবে এবং নতুন নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে। মিডল ইস্ট আই।

নাফতালি বেনেট

খবরে বলা হচ্ছে, আগামী ২৫ অক্টোবর নির্বাচন হতে পারে। এ কারণে আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে যাওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি নাফতালি বেনেটের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

লাপিড এবং বেনেট শিগগির একটি বিবৃতি প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময় আসল, যখন জোট গঠনের প্রথম বার্ষিকীর মাত্র কয়েকদিন পার হয়েছে। জোটে বামপন্থী এবং ডানপন্থী শক্তির পাশাপাশি ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইয়ার লাপিদ

ক্ষমতাসীন জোটটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অভ্যন্তরীণ বিবাদ ইসরায়েল জোট সরকারকে দুর্বল করে দিয়েছে। সরকারটি বিল পাস করার ক্ষমতাও হারিয়েছে।

সর্বশেষ ২০২১ সালের নির্বাচন মূলত একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট তৈরি করেছিল। যেখানে নেতানিয়াহুর ডানপন্থী ব্লক কিংবা বিরোধী দলের নতুন সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন ছিল না। এর ফলে রক্ষণশীল ইয়ামিনা, দুটি আরব রাজনৈতিক দল, জয়েন্ট লিস্ট এবং ইউনাইটেড আরব লিস্ট পার্লামেন্টে (নেসেট) সম্ভাব্য কিংমেকার হিসাবে আবির্ভুত হয়।

ইয়ামিনা নেতা নাফতালি বেনেট বলেছিলেন, তার প্রথম পছন্দ একটি ডানপন্থী সরকার গঠন। আর তার দ্বিতীয় পছন্দ ছিল একটি বৃহত্তর ‘জাতীয় ঐক্য সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা, যাতে মাত্র দুই বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন এড়ানো যায়।

নেতানিয়াহু যখন অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে ইউনাইটেড আরব লিস্টের সাথে জোট গড়তে রাজি হন, তখন দলটি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ইউনাইটেড আরব লিস্ট যে কোনো ডানপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠের অংশ হতে অস্বীকার করে। ফলে নাফতালি বেনেটের সরকার আলোর মুখ দেখে।