মার্কিন কংগ্রেসে ভারতেবিরোধী প্রস্তাব পেশ

মার্কিন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান ইলহান আবদুল্লাহি ওমর ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন। ওই প্রস্তাবে দেশটির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ এনে নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সাথে তিনি ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ (কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন) হিসেবে মনোনীত করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর ডন ও জি নিউজ।

ইলহান ওমর

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রস্তাবটি প্রকাশিত হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়, ভারতের বিদ্যমান আইন এবং দেশের ধর্মীয় প্রতিকূল কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে রাজ্য ও জাতীয় উভয় পর্যায়ে একটি হিন্দু রাষ্ট্রের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবায়ন করে চলেছে মোদি সরকার।

মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ

ওই প্রস্তাবে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং ভারতীয় মুসলমানদের জন্য জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের গুরুতর ঝুঁকিগুলোকেও তুলে ধরা হয়েছে, যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘুকে রাষ্ট্রহীন বা অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বিশেষ করে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপর হামলার কথাও উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই ঘটনাগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা উৎসাহ বা প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল।

কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার অপর তিন আইনপ্রণেতা রাশিদা তালিব, জিম ম্যাক গর্ভান ও জুয়ান ভার্গাসের সঙ্গে যৌথভাবে প্রস্তাবটি কংগ্রেসে উত্থাপন করেন ইলহান ওমর। প্রস্তাবে ইউএসসিআইআরএফ প্রকাশিত সবশেষ রিপোর্টের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে উপস্থাপিত প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য হাউসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতেও পাঠানো হয়েছে। ওমরের উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডাসহ বিভিন্ন নীতির বাস্তবায়নে নাগরিকদের ওপর নানা ধরনের চাপ দিচ্ছে। এতে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, দলিত, আদিবাসী ও অন্যান্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম মুসলিম মহিলা সদস্য হিসেবে ইলহান ওমর এবং রাশিদা তালিব বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসা ও ঘৃণা প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।