প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জে চীন-মার্কিন ঠেলাঠেলি

ওয়াশিংটন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোতে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য ব্যস্ততা বাড়াচ্ছে। হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল বলেছেন, তিনিসহ আরও উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তারা অঞ্চলটি সফর করবেন। চীন আগে থেকেই বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ক্ষুধার্ত দেশগুলোর সাথে অর্থনৈতিক, সামরিক সংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

মার্কিন কর্মকর্তা কার্ট ক্যাম্পবেল বলছেন, এই অঞ্চলজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কূটনৈতিক সুবিধার প্রয়োজন এবং দ্বীপ দেশগুলোর সাথে আরও যোগাযোগের প্রয়োজন।

তিনি ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদের আরও উঁচু স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে সফর করা দরকার। মূলত বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আবস্থান আরও সংহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বেইজিংয়ের প্রভাব মোকাবেলা

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোতে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বেড়েই চলেছে। চলতি বছর সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সাথে চীন নিরাপত্তা চুক্তি করেছে। চীনের এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

ক্যাম্পবেল চীনের কথা উল্লেখ না করে বলেন, আমরা প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলটির সার্বভৌমত্বের বিষয়টি নিয়ে সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করি। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে আমরা আপস করতে রাজি নই। কেউ যদি অঞ্চলটির সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করে তাহলে আমাদের উদ্বেগ থাকবেই।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জে একটি দূতাবাস খুলবে। চলতি বছরের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফিজি সফরের সময় দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। চার দশকের মধ্যে আমেরিকার কোনো শীর্ষ কূটনীতিকের প্রথম সফর ছিল সেটি।

ক্যাম্পবেল বলছেন, ফিজিকে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্যাসিফিকে প্যাসিফিক দ্বীপবাসী সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারে থাকবে। তাদের সব প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। আমরা শক্তিশালী একতা গড়ব।

তবে তিনি স্বীকার করেন, প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দুর্বল। কারণ ইতোপূর্বে দ্বীপগুলোর চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলোকে বিবেচনায় আনা হয়নি।