ইইউ সদস্য প্রার্থী হলো ইউক্রেন ও মলদোভা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থীতা পেয়েছে ইউক্রেন ও মলদোভা। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা দেশ দুটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইইউ সদস্য প্রার্থী হলো ইউক্রেন ও মলদোভা

সম্মেলন চলাকালীন টুইট বার্তায় মিশেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ইউরোপীয় কাউন্সিল সবেমাত্র ইউক্রেন এবং মলদোভার ইইউ প্রার্থীর মর্যাদা নির্ধারণ করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবে। আগের দিন বৃহস্পতিবার সম্মেলনটি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুরু হয়।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কো তার দেশে সৈন্য পাঠানোর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইউক্রেন ইইউ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। জর্জিয়াও ইইউ সদস্য পদ পেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, তিনটি দেশই আমাদের ইউরোপীয় পরিবারের অংশ। এই সিদ্ধান্ত আমাদের সকলকে শক্তিশালী করেছে।

এক টুইটে তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ রুশ সাম্রাজ্যবাদের মোকাবেলার পাশাপাশি ইইউকে শক্তিশালী করবে। বাইরের হুমকির মুখে ইইউ দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী তা বিশ্ব দেখতে পেরেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি গত সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি বক্তৃতায় ইইউ প্রার্থীর মর্যাদার জন্য তার দেশের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান দেন। তার বক্তব্য, ইইউ সদস্য পদের সূচনা শুরু হলেই ইউক্রেন স্থায়ীভাবে রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের বাইরে চলে যাবে।

রাশিয়া কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে

ক্রেমলিন জানত ইউক্রেন ও মলদোভা ইইউ প্রার্থিতা পেতে যাচ্ছে, কিন্তু দেশটি খুব একটা আমলে নেয়নি। ক্রেমলিন এমন আচরণ করছে যেন এটি কোনো বিষয়ই না।

গত সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়া বা না হওয়া তাদের কিছুই যায়-আসে না। অর্থনৈতিক ইউনিয়নে যোগদান করা বা না করা প্রতিটি দেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত।