ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে

পাকিস্তান ও ইরান দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। ইসলামাবাদ এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, তেহরান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত একটি জঙ্গি সংগঠন ‘সিন্ধুদেশ রিপাবলিকান আর্মির’ (এসআরএ) সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এরপরই এ মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের ১০৭ শরণার্থীকে বিতাড়িত করেছে ইরান।

ইরান ও পাকিস্তানের পতাকা

সংগঠনটি করাচিতে একটি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে সদর বাজার এলাকায় একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।

করাচির মৌরিপুর এলাকায় এনকাউন্টারে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। ইসলামাবাদের কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) মতে, ওই দুই ব্যক্তি আল্লাহ ডিনো (২৮) এবং নওয়াব আলী (২৬) বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যারা ইরানে প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।

পাকিস্তানের অভিযোগ, এসআর এ’র প্রধান আসগর আলীকে ইরানে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও বলেছিলেন। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ইরানের ভোগান্তি হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কেচের তুরবাতে সক্রিয় একটি সালাফি জিহাদি জঙ্গি সংগঠনের একজন কথিত সদস্যের দুই সন্তানসহ এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।

পার্সিয়ান দেশে নিষিদ্ধ একটি সংগঠন জইশ আল আদলের সঙ্গে যুক্ত মোল্লা ওমর ইরানী রক্ষীদের অপহরণ এবং হত্যার জন্য পুলিশের খাতায় ওয়ান্টেড ছিলেন। তেহরান তাকে গ্রেপ্তারে পাকিস্তানের সমর্থন চেয়েছিল।

সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান এবং শিয়া ইরান মৌলিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কট্টরপন্থীদের দিকে পাকিস্তানের ঝোঁক ইরানের জন্য খুব একটা আশ্বস্তকর নয়।

সূত্র: এএনআই