হাজিদের অন্যতম আকর্ষণ ‘মদিনা প্রদর্শনী’

মসজিদে নববি মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় একটি জায়গা। হজ ও ওমরায় গিয়ে হাজিরা সেখানে গিয়ে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য ইবাদত করেন। এই স্থানটি নবির সময়ে কেমন ছিল, কেমন ছিল তার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা- সেটা জানার জন্য মানুষ খুব উৎসুক থাকে। আবার বর্তমান মসজিদের নানা বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকের। 

মসজিদে নববির স্থাপত্য প্রদর্শনী

এসব কৌতুহল ও আগ্রহ মেটানোর জন্য মদিনায় মসজিদে নববির পাশে রয়েছে এ মসজিদেরই একটি স্থাপত্য প্রদর্শনী। যেখানে ঘুরে ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবান তথ্য জেনে দর্শনার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। খবর আরব নিউজ।

দুই হাজার ২০০ বর্গ মিটার ব্যাপ্তির এ প্রদর্শনীর অবস্থান মসজিদে নববির দক্ষিণে। মুহাম্মদ (সা.) এবং তার সাহাবিদের দ্বারা এটি প্রথম নির্মিত হয়েছিল হিজরতের পরপর। সে সময় থেকে নানা পর্যায়ে এটির সম্প্রসারণ ইতিহাস এতে আলোচনা করা হয়েছে। এই সম্প্রসারণগুলো সাড়ে চৌদ্দশত বছরের বেশি সময় ধরে ইসলামিক স্থাপত্য, নকশা এবং অলঙ্করণের সৌন্দর্য ও বিস্তৃতির সাক্ষী।

পরিদর্শন করছে দর্শনার্থীরা

আল-মদিনা আল-মুনাওয়ারাহ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ সেন্টারের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীতে মসজিদে নববির স্থাপত্যের মাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। এর বিশেষত্ব, মর্যাদা ও স্থাপত্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। ইসলামি সভ্যতায় সাংস্কৃতিক সচেতনতার পাশাপাশি একটি বিশদ ও ব্যাপক উপস্থাপনার মাধ্যমে এটি দর্শকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে চলছে।

মসজিদে নববির বৈশিষ্ট্য যেমন মিম্বর, মিহরাব, গম্বুজ, শামিয়ানা, দরজা, মুয়াজ্জিন, মিনার, স্কোয়ারসহ নানা ধরনের পরিষেবার সাথে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এই প্রদর্শনী। ওয়াল প্যানেল ও ইন্টারেক্টিভ পর্দার মাধ্যমে আরবি, ইংরেজিসহ ১২টি ভাষায় দর্শকদের জন্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে একটি বিশেষ হল রয়েছে, যেখানে দুটি পবিত্র মসজিদের বিরল এবং মূল্যবান জিনিসপত্র এবং যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করা হয়।

প্রদর্শনীটিতে পরিদর্শন সময় দুটি ভাগে বিভক্ত। সকাল ৭টা থেকে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। দর্শকের আধিক্যের কারণে দর্শনার্থীদের ৪০ মিনিট করে সময় বেধে দেয়া হয়।