তীব্র তুষারধসে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বহু মানুষের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
গত তিনদিনে শুধু আফগানিস্তানেই মারা গেছেন ১০০ জন মানুষ। এর মধ্যে এক রাতের তীব্র ধসে মারা গেছেন ১৬ জন। কাবুলের খুব কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উত্তর পাকিস্তানে তুষারধসে মারা গেছেন ১৩ জন। এদের মধ্যে নয়জন থাকতেন চিত্রল শহরে।
শহরটির বেশ কিছু বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িগুলোর ভিতরে কেউ কেউ আটকা পড়ে গেছেন।
আফগানিস্তানের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলে হয়েছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। বিশেষ করে বড়াখশান, ননগহর এলাকায়। এ ছাড়া কাবুলের কাছের পারওয়ান এলাকায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কাবুলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি অতিরিক্ত বরফপাতের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ এ অবস্থায় রানওয়েতে বিমান চালানো সম্ভব নয়।
বরফের কারণে মহাসড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। কাবুল- কান্দাহারের মতো হাইওয়েতে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ। এর মধ্যে অন্তত ২৫০টি আটকে পড়া গাড়ি উদ্ধার করেছেন সেনারা।
উত্তর কাবুলের সালাং নামের এলাকায় সাত ফুট উঁচু বরফ পড়েছে। এ দিকে আফগানিস্তানের সরকারি আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা বলছে, আরো তুষার পড়তে পারে। দেশবাসীকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।