উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির সমালোচনা করে ফ্রান্সের করা মন্তব্যকে প্রত্যাখান করেছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপ বিষয়ক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা রি টোক সন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও কর্মসূচি যদি খারাপ হয় তাহলে ফ্রান্সেরগুলো কি?’
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন রি টোক সন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এছাড়াও তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্য ইভস লা দ্রিয়াঁ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু অস্ত্র দিয়ে আমেরিকা এমন কী ইউরোপেও আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জন করবে।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রি টোক সন বলেন, ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার পর সম্প্রতি ফ্রান্সের উঁচু পর্যায়ের একজন রাজনীতিক সে দেশের জনগণকে এ নিয়ে ভয় দেখিয়েছেন।’
‘পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনার করার আগে ফ্রান্সের উচিত ছিল নিজের পরমাণু অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা। আর পরমাণু অস্ত্র যদি এতই খারাপ হয় তাহলে ফ্রান্সের উচিত এখনই নিজের পরমাণু অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা। কারণ, তারা তো কারো পরমাণু হামলার হুমকির মুখে নেই।’