ঐকমত্যে ফাতাহ-হামাস, ১৫ বছর পর নির্বাচন

দীর্ঘ ১৫ বছর পর নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ফিলিস্তিনের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল ফাতাহ ও হামাস। সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটগ্রহণের তফসিল অনুষ্ঠিত হবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া এই ঐতিহাসিক চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার খবরে ফিলিস্তিনি জনতার উল্লাস

আজ বৃহস্পতিবার ফাতাহর সিনিয়র কর্মকর্তা জিব্রিল রাজউব আল জাজিরাকে বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা প্রথমে আইনসভা নির্বাচন করবো। এরপর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং সবশেষে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নির্বাচন করা হবে।

এর আগে ২০০৬ সালে সর্বশেষ ফিলিস্তিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে হামাস বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সালেহ আল-আওরোরি বলেন, তুরস্কে অনুষ্ঠিত বৈঠককালে এ চুক্তি হয়েছে। এবার আমরা সত্যিকারের ঐকমত্যে পৌঁছেছি। বিভক্তি আমাদের জাতীয় উদ্দেশ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং আমরা সেটি শেষ করতে এখন কাজ করছি।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম আল আহমাদ বলেন, বৈঠককালে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এটার ওপর জোর দিয়েছিলেন যে, জেরুজালেম বা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে নির্বাচন থেকে বাদ দেয়া উচিত হবে না। বিশেষ করে জেরুজালেম ছাড়া নির্বাচন হবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফাতাহর শীর্ষ এই সদস্য হামাসের সঙ্গে তুরস্কে চলমান আলোচনাকে ইতিবাচক, ফলপ্রসূ ও ফলদায়ক বলে অভিহিত করেছেন।

হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া

এক টুইট বার্তায় ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুসেন আল-শেখ বলেন, দুই দলের এই সংলাপ পুনর্মিলন ও অংশীদারিত্বের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং ঐকমত্যের আলোকে ফিলিস্তিনের অবস্থানকে একত্রিত করা।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়িয়েহ বলেন, গত দুই দিন ধরে ইস্তাম্বুলে ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে জাতীয় সংলাপে তারা যে সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সে জন্য তাদের স্বাগত জানাই।