বেশ ঘটা করে পৃথিবীর বৃহত্তম কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুরুতে ৩০ কোটি ভারতীয়কে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহৎ এই কর্মযজ্ঞের শুরুতেই হোঁচট খেলো কর্তৃপক্ষ। নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিন’ নিতে আপত্তি চিকিৎসকদের একাংশের। চিঠি দিয়ে তারা বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাকসিন’
দুটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। একটি হলো ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ‘কোভিশিল্ড’ নাম দিয়ে যেটা উৎপাদন করছে। দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি ভারতের নিজস্ব। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে ‘কোভ্যাকসিন’।
নিজেদের দেশের হলেও শরীরে ‘কোভ্যাকসিন’ নিতে অস্বীকৃতি ভারতীয় চিকিৎসকদের। শুরুতে এই আপত্তি জানিয়েছেন দিল্লির অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে তারা এই আপত্তির কথা জানিয়েছে। তারা বলছেন, ‘কোভ্যাকসিন’ ট্রায়ালের সবকটি ধাপ যথাযথভাবে সস্পন্ন করেনি। তাই এটি গ্রহণ করে তারা ঝুঁকিতে পড়তে চান না।
কোভ্যাকসিন নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল। এবার চিকিৎসকদের আপত্তি যেন সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। দেশের অনেক বড় বড় চিকিৎসক এবং গবেষকরা এই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠিও এ নিয়ে সরকারের সমালোচনায় মত্ত হয়েছে। তবে মোদি সরকার এসব অভিযোগকে বরাবরই ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।