যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার আগে ইরানের বিরুদ্ধে এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন যে, যেকোনো সময় যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। ওই সময় ইরানও তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়। এর অংশ হিসেবে মাত্র দুই মাসে ১০টি সামরিক মহড়া চালিয়েছে তেহরান।
সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া চালায় ইরান
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি এ তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।
তেহরানের অদূরে কোম নগরীতে বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ হোসেইন নূরি হামেদানির সঙ্গে গতকাল রোববার সাক্ষাৎকালে এ তথ্য জানান তিনি।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বলেন, ট্রাম্পের শাসনামলের শেষ দুই মাসে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক তৎপরতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল এবং ইরানের ওপরও চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। ওই সময় সর্বোচ্চ নেতার (আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি) নির্দেশে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সারাদেশে ১০টি বড় ধরনের সামরিক মহড়া পরিচালনা করে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি
জেনারেল বাকেরি জানান, এসব মহড়ায় ইরানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং নৌসেনাদের আধুনিক প্রস্তুতি দেখে স্তিমিত হয়ে যায় মার্কিন সামরিক তৎপরতা। এতে অক্ষুণ্ন থাকে ইরানের নিরাপত্তা।
ইরানের প্রতি ইঞ্চি ভূমির নিরাপত্তা রক্ষা করতে দেশের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলেও এ সময় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেনারেল বাকেরি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন যেকোনো মূল্যে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফেরার চেষ্টা করছে। এতে ইরানের ইসলামি শাসন ব্যবস্থার শক্তিমত্তা ফুটে উঠেছে।
ইরানের এ সামরিক কর্মকর্তা আরো বলেন, ইরান সর্বোচ্চ নেতার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আজ এমন এক জায়গায় উপনীত হয়েছে যে, শত্রু পশ্চাদপসরণ করতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে।