লক্কর-ঝক্কর বাড়ি। অফিস করার জন্য এ রকম পুরনো একটি বাড়ি বেছে নিয়েছিলেন আইনজীবী। বাড়িটির বড়সড় মেরামত প্রয়োজন ছিল। ওই আইনজীবী জানতেন, এজন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হবে। এ টাকা আসবে কোথা থেকে- কিছুটা চিন্তিতও ছিলেন তিনি।
বাড়ি মেরামতের সময় পাওয়া গেল ৮৫ লাখ টাকা
মেরামতের সময় আচমকা সিলিংয়ে একটি গোপন দরজা দেখতে পান হুইটকম্ব। দরজার ভিতরে মাথা গলিয়ে ভিতরে একাধিক ছবি দেখেন তিনি।
পরে এক বন্ধুকে নিয়ে ওই গোপন কুঠুরিতে প্রবেশ করেন তিনি। ভিতরে গিয়ে বিস্মিত হয়ে যান। অনেক দামি ছবি ছিল ওই ঘরে।
এটা ছিল চিত্রকর হ্যালের ছবিঘর। মূল্যবান সব ছবি এ ঘরে সংগ্রহ করে রাখতেন তিনি। তবে ছবিগুলোর যে কত মূল্য হতে পারে, তা নিয়ে কোনো ধারণা ছিল না হুইটকম্বের।
জেনেভা ঐতিহাসিক সোসাইটির সভাপতি ড্যান উইনস্টকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তার কাছেই মূলত ছবি এবং চিত্রকর হ্যালের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
বাড়ি মেরামতের সময় পাওয়া গেল ৮৫ লাখ টাকা
ওই ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ছবি ও ছবি তোলার সরঞ্জাম। সবগুলো ছবি ছিল ১৯ এবং ২০ শতকের মাঝের সময়ের।
স্থানীয় খেলোয়াড় দলের ছবি যেমন ছিল, তেমনই স্থানীয় মহিলাদের ছবিও ছিল। এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যান্টনের ছবিও ছিল তাতে। সুসান বি অ্যান্টনির একটি বিশাল ছবি ছিল, যা ১৯০৫ সালে তোলা।
ছবিগুলো যে এত মূল্যবান, তা জানার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন হুইটকম্ব। নিউইয়র্কের এক নিলাম সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
কিছু ছবি নিজের সংগ্রহে রেখে বাকিটা নিলাম করে দেন তিনি। সব মিলিয়ে ১ লাখ ডলারে বিক্রি হয় ছবিগুলো।