৫৩ ফিলিস্তিনি ও ৬ ইসরায়েলি নিহতে যুদ্ধের শঙ্কা

সোমবার থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। তেল আবিবের বিমান হামলায় আর গাজার রকেট হামলায় দীর্ঘ হচ্ছে হতাহতের সংখ্যাও। এমতাস্থায় দেশ দু’টির মধ্যে পুরোপুরি যুদ্ধের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বিবিসি জানায়, চলমান সহিসংতায় গত ৩৮ ঘণ্টায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। এর বিপরীতে ৬ জন ইসরায়েলি নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছে।

আজ বুধবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজার গুরুত্বপূর্ণ ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় কয়েক শ’ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েক দিনের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোরে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটে।

এ হামলায় ১৩ তলা বিশিষ্ট গাজা টাওয়ার মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, যেখানে হামাস নেতাদের কার্যালয়ও ছিল। আরো অনেকগুলো বহুতল ভবন ও স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তেল আবিবের বোমা হামলায়।

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ইসরায়েল সংঘাত বাড়াতে বা থামাতে চায়, উভয় ক্ষেত্রেই আমরা প্রস্তুত আছি।

অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, গত কয়েক দিনে গাজা থেকে দেড় হাজার রকেট ছুঁড়েছে ফিলিস্তিনিরা। রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন এলাকা ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু হামলা হয়। যা ঠেকাতে দেশটির ​আয়রন ডোম অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে রকেটগুলো আসড়ে পড়ছে লক্ষবস্তুতে।

এতে ইসরায়েলের আশকেলনের একটি পাইপলাইনে রকেট আঘাত হানলে জ্বালানি ট্যাংকারে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হামলার জেরে দেশটির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিওন বন্ধ রয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে পাশের লক শহরে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেন, সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা কেবল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এটি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের চির শত্রু দেশ দুটির নতুন এই সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শান্তি ফেরাতে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা আরো বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

বিষয়টি জানিয়ে সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য শান্তি দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড বলছেন, এতে কার্যত ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে এগিয়ে’ যাচ্ছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল। সেখানে যুদ্ধাপরাধ ঘটছে কিনা, সে দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।