২০২৩ সালের আগে বৈশ্বিক কর্মসংস্থান করোনা-পূর্ববর্তী স্তরে ফিরবে না। চলতি বছর কর্মঘণ্টার যে ঘাটতি থাকবে, তা আনুমানিক ৫ কোটি ২০ লাখ পূর্ণকালীন চাকরির সমান। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। আল জাজিরা।
আইএলওর নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ
বিশ্বব্যাপী কাজের সুযোগ হ্রাস পাওয়া সংক্রান্ত আইএলও-এর এই শঙ্কা সংস্থাটির আগের অনুমানের দ্বিগুণ। গত মে মাসে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬০ লাখ চাকরির সমপরিমান কর্মঘণ্টা কম হতে পারে। ২০২২ সালের পরিস্থিতি আগের বছরের তুলনায় উন্নতি হলেও করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় দুই শতাংশ নিচে থাকবে।
গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আইএলওর এক প্রতিবেদনে এই শঙ্কার কথা জানানো হয়। ‘বৈশ্বিক কর্মসংস্থান এবং সামাজিক রূপরেখা: প্রবণতা ২০২২’ শিরোনামের নতুন প্রতিবেদনটি আইএলও-এর সদর দপ্তর জেনেভা থেকে প্রকাশ করা হয়।
চাকরিপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন
এতে করোনার প্রভাবে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়া করোনার আগে-পরে কর্মসংস্থানের গুণগত মানের পরিবর্তন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটছে, তা তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক বেকারত্বের হার ২০২২ সালে ৫.৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা গত বছর ছিল ৬.২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ছিল ৬.৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে করোনা পূর্ববর্তী সময়ে এটি ছিল ৫.৪ শতাংশের উপরে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের পোশাকখাতে মধ্যম পর্যায়ের দক্ষ শ্রমিকদের স্বল্পমেয়াদে কাজে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে নির্ধারিত কর্মঘণ্টায় কাজ করছে এসব শ্রমিক। সাধারণত, অর্থনৈতিক সংকটে এ ধরনের পদ্ধতি অবলম্বনের উদাহরণ আছে কানাডা, জার্মানি, সুদানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।