ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর। এর মধ্যেই ভূমধ্যসাগরে সংস্থাটির মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। এর বিপরীতে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মহড়া, ফাইল ছবি
পার্সটুডে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর বিশাল সামরিক মহড়া সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র। তিনি গতকাল শুক্রবার জানান, নেপচুন স্ট্রাইক-২২ নামে এই মহড়ায় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান অংশ নেবে। মহড়াটি চলবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এর মাধ্যমে ন্যাটোর যুদ্ধসক্ষমতা দেখানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয় এই মহড়ার, যার সঙ্গে ইউক্রেন সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই। মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এর আয়োজন করা হয়েছে।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও সের্গেই ল্যাভরভ, ফাইল ছবি
এএফপি জানিয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর ন্যাটোর সামরিক মহড়াগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে নেপচুন স্ট্রাইক-২২ এর নাম নেই। রাশিয়ার আলাদা মহড়ার ঘোষণা আসার পরেই হঠাৎ এই মহড়ার ঘোষণা আসায় পাল্টাপাল্টি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ঘোষণা করে, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আটলান্টিক, আর্কটিক ও ভূমধ্যসাগরে বিশাল সামরিক মহড়া চালাবে তারা। এতে ১৪০টি যুদ্ধজাহাজ ও ১০ হাজার সেনা অংশ নেবে। মহড়াটি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হবে।
এ মহড়ায় প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে থাকা রুশ সকল নৌবহর যুক্ত করার কথা জানানো হলেও সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহৎ মহড়া হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনার কমাতে সম্প্রতি আলোচনায় কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পরে ফের আলোচনার টেবিলে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া। উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকে বসেন। তবে সেখান থেকেও চলমান উত্তেজনার পারদ যে নামছে না, তা অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।