আপনি পড়ছেন

গত ২০২০ সালের মে মাসে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম লকডাউনের সময় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বরিস জনসনের জন্মদিনের উদযাপনের তথ্য তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এর পর থেকেই বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবি উঠেছে খোদ কনজারভেটিভ পার্টির এমিপদের মধ্য থেকে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর পতদ্যাগের সময় এসে গেছে এবং নতুন প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে লিজ ট্রাস স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন। এক্সপ্রেস নিউজ।

liz truss british cabinet ministerডাউনিং স্ট্রিটে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লিজ ট্রাস

মাত্র দুই বছরের মধ্যে মিস ট্রাস রাজনীতির অন্যতম পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন। এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনের বিশ্বব্যাপী উচ্চাকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হিসেবে তিনি নিজেকে রূপান্তরিত করেছেন। ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তির সাথে তার সাফল্য গত ১৮ মাসে তার প্রোফাইলকে যথেষ্ট শক্ত করেছে এবং তিনি দলের তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

কনজারভেটিভ হোম সদস্যদের নিয়ে ডিসেম্বরে করা এক জরিপে উঠে এসেছে, লিজ ট্রাস তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকের চেয়ে ১৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। ২০২১ সালে তিনি কনজারভেটিভ বা টোরি ভোটারদের কাছে টানেন। আগস্ট মাসে মিস্টার সুনাককে পিছনে ফেলে লিজ দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। এমনকি ভোটাররা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জনসনের পরে সেরা প্রার্থী হিসেবে তাকে ভোট দিয়েছে।

তৃণমূল ভোটারদের মধ্যে লিজ ট্রাসের জনপ্রিয়তা বেশি কেন, তা সহজেই ব্যাখ্যা করা যেতে পারে । মিস ট্রাস মুক্ত বাজার অর্থনীতির একজন নেতৃস্থানীয় সমর্থক। তিনি রক্ষণশীলতার ক্ষেত্রে জনসনের আরও চেয়ে উদার। তিনি একজন দৃঢ় ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ২০১৬ সালের জুন মাসে লিজ ট্রাস বলেছিলেন, যদি আমরা ইইউ ছেড়ে চলে যাই, তাহলে আমরা আরও ভাল বাণিজ্য চুক্তি পাব।

খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্য জুড়ে শ্রমিকদের জন্য ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স বাড়ানোর ঋষি সুনাকের সিদ্ধান্ত অজনপ্রিয় ছিল। এটি ছিল ২০১৯ সালের ইশতেহারের একটি মূল অঙ্গীকারের সরাসরি বিরোধী। কিন্তু লিজ ট্রাস মার্গারেট থ্যাচারের দর্শন অনুসরণ করছেন। তিনি কম কর আরোপ এবং কম রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পক্ষে।

ট্রাস মনে করেন, সরকারের অধীনে সাধারণ মানুষের জন্য ট্যাক্স পরিবর্তিত হবে কিনা তা ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। কারণ ইউকে সরকারগুলোর জন্য ট্যাক্স হ্রাস অস্বাভাবিক। ২০১৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বরিস জনসনের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে এটি ছিল। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিটের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বাণিজ্য সচিব থাকাকালীন মিস ট্রাস ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাজারে বেশ কয়েকটি চুক্তি সংগ্রহ করেছিলেন। যদিও তিনি গত বছরের অক্টোবরে বলেছিলেন, আমেরিকানদের সাথে একটি চুক্তি ‌'সব হয়ে গেছে কিংবা সব শেষ' এ রকম নয়। এর চিন্তা ব্রেক্সিট সমর্থকদের কাছে টানতে বিশেষভাবে কাজ করেছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.