তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পুতিন সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। চলমান মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে সুবিধাজনক সময়ে আঙ্কারা সফরে যাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন, ফাইল ছবি
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ডেইলি সাবাহ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ এর মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং সময়সূচি মিলে গেলেই তুরস্ক সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এর আগে বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত তার দেশ। ইউক্রেন সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হয়। কারণ আঙ্কারার সঙ্গে কিয়েভ ও মস্কোর ভালো সম্পর্ক বিরাজ করছে।
রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনায় এরদোয়ানের ওপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে আরো বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশ সফরে এলে তার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে গুরুত্বপূণ আলোচনা হবে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ঠিক কখন তুরস্ক সফর করবেন, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি ক্রেমলিন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঙ্কারা-মস্কোর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। যদিও এই ইস্যুতে তুরস্কের ওপর ক্ষেপেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু তাদের নানা হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করেই অস্ত্রটির চালান তুরস্কে নিয়ে গেছে এরদোয়ান প্রশাসন।