ইউক্রেনের লড়াই যাতে ক্ষুধার সংকটকে আরও খারাপ না করে, তা নিশ্চিত করতে তুরস্ক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘে ‘গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি-কল টু অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এ আহ্বান জানান। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
মেভলুত কাভুসোগলু
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যেহেতু উভয় দেশই প্রধান বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহকারী এবং যুদ্ধ তাদের রপ্তানি সক্ষমতা হ্রাস করছে। উৎপাদন ও রপ্তানি সরাসরি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে।
কাভুসোগলু বলেন, এই যুদ্ধ যাতে খাদ্য সংকটকে আরও খারাপ না করে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন। এজন্য ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত এবং দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করা উচিত।
নরেন্দ্র মোদি
নিক্কেই এশিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, যুদ্ধ যখন বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে, ঠিক তখনই ভারত বেশিরভাগ গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। অথচ চলতি মাসের শুরুতে বার্লিন সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারতের কৃষকরা বিশ্বকে খাওয়ানোর জন্য এগিয়ে আসছে।
ভারতের খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের সচিব সুধাংশু পান্ডে মোদির বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেছিলেন, ভারতে খাদ্যশস্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রিপোর্ট করেছে, ভারত থেকে গম রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে কি না, তা জানতে ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে নয়টি দেশে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ১৩ মে মোদি রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বসেন। চীনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ।
ভারতের বক্তব্য, প্রত্যাশিত গমের ফলন এ বছর কম হয়েছে। প্রথমে ভারী বৃষ্টিপাত এবং পরে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গমক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে রপ্তানি বন্ধ না করলে জাতীয় চাহিদাই দেশটি পূরণ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।