রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে দুই দেশ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেন শান্তি আলোচনা চালিয়ে যেতে কোনো ইচ্ছা দেখাচ্ছে না। আবার কিয়েভের কর্মকর্তারা আলোচনার অগ্রগতির অভাবের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
দুই দেশ আলোচনায় বসলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি
সর্বশেষ দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনা করতে বসেছিল গত মার্চ মাসের ২৯ তারিখে। কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু উভয় পক্ষই হঠাৎ ইঙ্গিত দেয় আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আলোচনা অগ্রগতি হচ্ছে না এবং আমরা ইউক্রেনের আলোচকদের অনিচ্ছা লক্ষ্য করছি। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুডেনকোকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, কিয়েভ আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে কার্যত নিজেকে প্রত্যাহার করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ
তবে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হওয়ার জন্য ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেন, পুতিন আলোচনা করতে প্রস্তুত নন। শান্তি ফেরাতে একমাত্র কাজ হল রুশ দখলদারদের ধ্বংস করা। রাশিয়ান বাহিনী কবে পরাজিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আগামী কয়েক মাসের ব্যাপার।
যুদ্ধ থামাতে সব পক্ষের চেষ্টা চলছিল। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা পুতিনকে নানা হুমকি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের একটা চেষ্টা করেছিল। তুরস্ক দৃঢ় মনোভাব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে দুই পক্ষকে বসাতেও সফল হন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। কিন্তু পরে তার আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব মস্কো ও কিয়েভ সফর করার মাধ্যমে শান্তি ফেরাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি কিয়েভে অবস্থানকালেই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আশপাশে আঘাত হানে। কোনো ফলাফল না নিয়েই কিয়েভ ছাড়েন জাতিসংঘ মহাসচিব।
রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল যারা শান্তি আলোচনার জন্য নিযুক্ত ছিল তারাও পরস্পর আলোচনা চলার ইঙ্গিত দিয়েছিল বেশকিছু দিন। কিন্তু গতকাল বুধবার হঠাৎ দুই পক্ষ ঘোষণা দেয়, শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। কোনো পক্ষেরই নাকি শান্তি আলোচনায় আগ্রহ নেই।