করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের যেসব চীনা শিক্ষক মান্দারিন ভাষা শেখাতেন তারা পাকিস্তান ছেড়ে গেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন চীনা নাগরিকসহ মোট চারজন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান ছাড়েন এসব প্রশিক্ষক।
কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের (চীনা ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট) পাকিস্তানি পরিচালক ড. নাসিরুদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান হওয়ার নয়। এটি কূটনীতি ও সরকার পর্যায়ে সমাধান হতে পারে।
এদিকে, পাকিস্তানের সেনেট ডিফেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মুসাহিদ হুসেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হামলার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর চীনের আস্থা বড় ধাক্কা খেয়েছে।’ হামলা প্রতিহত করতে না পারা বা আগে থেকে তথ্য না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘুমাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে চিনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। উদ্দেশ্য পাকিস্তানিদের মান্দারিন ভাষার শিক্ষা দেওয়া এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরই হচ্ছে চীনের আসল উদ্দেশ্য।