ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিওপোল এখন পুরোপুরি রাশিয়া দখলে চলে গেছে। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, কৌশলগত বন্দর শহরটি এখন তাদের পূর্ণ দখলে। মাসব্যাপী অভিযান চালানোর পর তারা সফল হয়েছে। ইউক্রেন আজভস্টাল স্টিলওয়ার্কসে থাকা সৈন্যদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যা করছে সেজন্য দেশটিকে মূল্য দিতে হবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
মারিওপোল
যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী কিয়েভের চারপাশে রাশিয়ান আক্রমণকে প্রতিহত করছিল, তখন পূর্ব ইউক্রেন ও মারিওপোলে সমান তালে হামলা অব্যাহত রাখে রাশিয়া। ইউক্রেন বাহিনী পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যে কিয়েভ রক্ষা করতে পারলেও মারিওপোল ঠিকই হাতছাড়া হয়ে গেছে। বিশেষ কৌশলে রাশিয়া মারিওপোল টার্গেট করেছিল।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেক্সান্ডার মোতুজিয়ানিক সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার দখলদার বাহিনী সেনা অবস্থান বরাবর তীব্র গুলি চালাচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে আঘাত করার চেষ্টা করছে।
ম্যাপে মারিওপোল
রাশিয়াকে মূল্য দিতে হবে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার রাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের যে ক্ষতি করছে, সেজন্য রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দায়ী করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনী উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তারা লোজোভাতে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। এছাড়া দক্ষিণে ওডেসা, পূর্বে পোলতাভা এবং পশ্চিমে জাইটোমির শহরগুলোতে আঘাত করেছে।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়াকে প্রতিটি বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল এবং ব্যবসা ধ্বংস করার জন্য অর্থ জরিমানা দেওয়া উচিত। এমন একটি আইনি ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত, যার মাধ্যমে রাশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককেই ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হবে।
বরিস-এরদোয়ান ঐকমত্য
ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনীয় শস্য বিশ্বব্যাপী সরবরাহের রুট উন্মুক্ত রাখতে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান। একইসাথে তারা বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের ক্রমবর্ধমান দাম কমাতে একত্রে কাজ করবেন।